তালা সরকারী বিদে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দিদার এখন মাদক সম্রাট -পর্ব ১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
এক সময়ের অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বর্তমানে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী তালা সরকারী বি.দে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দিদারের তুঘলকি কান্ড। তালা উপজেলার ৯ নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়া গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে দিদার মোড়ল। কর্মরত প্রতিষ্ঠানে এবং এলাকায় দিদারের নামে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। দিদার বর্তমানে তালা সরকারী বি.দে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত আছে।
কর্মস্থলে ঠিকমত ডিউটি না করে দিদার মোড়ল এলাকায় যুবকদের নিয়ে মাদক ব্যবসা, জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো এবং সরকারী দপ্তরের নথি চুরি সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । মামলাও রয়েছে গাজা চাষ এবং জমি দখলের। দিদার মোড়লের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না এলাকার সাধারণ মানুষ।
গাজা গাছ উদ্ধারের বিষয়ে ঘের মালিক নূর ইসলাম বলেন, “আমি আমার ভাইপো আমিরুল কে ঘের লিজ দিয়েছিলাম। দিদার মোড়ল তার নিকট থেকে লিজ নিয়ে ছিল। গাজা গাছ যখন উদ্ধার হয় তখন ঘের ছিল দিদার মোড়লের। আমি তখন ভাটায় কাজে গিয়েছিলাম । বিষয়টি গণমাধ্যমে ভিডিও দেখে জানতে পারি। বর্তমানে আবার ঘেরটি দিদার ডিট করে নিয়েছে।”
এ বিষয়ে দিদারের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জন, জন-প্রতিনিধি বলেন, “দিদার মোড়ল একজন মাদক সেবী ও মাদক চাষি । দিদার মোড়ল এলাকায় ইয়াবা নেশা ছড়িয়ে যুবসমাজ ধংস করছে। মানুষের জমি দখল করছে। সাধারণ মানুষ দিদার মোড়ল কে ভয়ে কিছু বলতে পারে না। দিদার মোড়লের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তাকে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হতে হয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও তার বিরুদ্ধে নাম প্রকাশ করতে পারছি না।
সে জানতে পারলে আমার বাড়িতে অবৈধ মালামাল রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকেও হয়রানি করবে। কয়েক মাস আগে দিদার মোড়লের ঘের থেকে তালা থানা পুলিশ কয়েকটি পরিপূর্ণ বয়স্ক গাজা গাছ উদ্ধার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা ঢালাও ভাবে প্রচার হয়। এ ঘটনায় দিদার মোড়লের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তালা থানা পুলিশ যার নং জি আর ১৯৮/২২। মামলায় তৎকালীন সময়ে সে গ্রেফতার হলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ৯নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, “দিদার মোড়লের নামে রয়েছে অনেক অভিযোগ। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চাকরিজীবী হয়েও দিদার ঠিকমত ডিউটি করে না। শুনেছি এলাকায় যুবকদের নিয়ে বেশিরভাগ সময় গাজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সেবনে ব্যস্ত থাকে। কিছুদিন আগে তার ঘের থেকে পুলিশ কয়েকটি গাজা গাছ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । সেটি গণমাধ্যমে আসলে আমরা জানতে পারি । সে বিষয়ে জেল ও খেটেছে দিদার মোড়ল।”
তালা বি.দে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহজান কবির বলেন, “দিদার মোড়ল ঠিকমত ডিউটি করে না সেটা সঠিক। মাদক সেবন ও মাদক মামলার বিষয়ে তিনি বলেন এধরণের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। পেলে অবশ্যয় উপর মহলে জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও দিদার মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
আরো বিস্তারিত নিয়ে আসছি আগামি পর্বে, চোখ রাখুন ”দৈনিক সাতক্ষীরা” পত্রিকার পাতায়।