শ্যামনগরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে যমুনা খননের কাজ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার
বিকেল থেকে আবারো শুরু হয়েছে আদি যমুনা খননের কাজ। একইসাথে
অপসারন করা হচ্ছে নদীর দু’ধারে জবরদখলকৃত অবৈধ স্থাপনা অপসারনের
কাজ। এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শ্যামনগর সদর
ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের জন্য মাইকিং করা হয়।
সাতক্ষীর পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০২২
সালে ৬৪টি জেলার আভ্যন্তরীন চোট নদী, খাল ও জলাশয় পূণঃখনন প্রকল্প (প্রথম
পর্যায় দ্বিতীয় সংশোধনীর অধীনে) তিন কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে
সাতক্ষীরা ছোট যমুনা নদীর ১৫ দশমিক ৯০ কিলোমিটার পূণঃখননের কাজ
পায় বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস এÐ ব্রাদার্স। কার্যাদেশ
অনুযায়ি ২৭ অক্টোবর থেকে খনন কাজ শুরু করে ৩০ মে তারিখের মধ্যে শেষ
করার কথা। তাছাড়া তলদেশ ২৮ ফুট ও উপরের অংশে ৮০- ১০০ ফুট চওড়া রেখে
খনন করার কথা। কিন্তু শ্যামনগরের জবরদখলকারিদের যোগসাজসে অসম্পূর্ণ ও
ত্রæটিপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করে খনন কাজ শুরু করলে স্থানীয় জনগন ও সুশীল
সমাজের নেতৃবৃন্দ তাতে বাধা দেয়। প্রকৃত অবৈধ স্থাপনাকারীদের
সনাক্তের মাধ্যমে যমুনা খননের দাবি জানানো হয়।
সরেজমিনে বুধবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকীপুর শ্মশান এলাকায়
যেয়ে দেখা গেছে যমুনা খনন চলছে এসকেবেটর মেশিন দিয়ে। দুপুর
পর্যন্ত যমুনা নদীর পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১১টি দোকান ঘর
ভাঙা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল কোন কারণ ছাড়াই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে
ঠিকাদারের নিয়োগকৃত লোক দেলাওয়ার হোসেন এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে
রেকডীয় জমিতে থাকা চÐিপুর মহাশ্মশানের লাশ ¯œান করানোর বেদী ভেঙে
দেন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে মেশিন পেলে পালিয়ে যায়
দেলোয়ার। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশান অফিসার তন্ময় হালদার
ও ঠিকাদারের লোক দেলাওয়ারের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নকশার
মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনা বাঁচিয়ে দেওয়ার নাম করে রেখে দেওয়ার অভিযোগ
ছিল। সেখান থেকে নদী খনন কাজ বন্ধ ছিল।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে চন্ডিপুর শ্মশানঘাট এলাকায় যমুনা নদীর দুধারে
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় ছবি তুলকে গেলে গ্রামের কাগজের শ্যামনগর
প্রতিনিধি মারুফ হোসেন মিলনকে মারপিটের অভিযোগে তার মা ইউপি
সদস্য দেলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে রাতেই নকীপুরের রহমত আলী, মলয় গাইন,
জয়দেব মন্ডল, সেলিম হোসেন, মিন্টু গাজী, নাজিমউদ্দিনসহ সাতজনের
নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।