সাতক্ষীরা থেকে অপহরনের পর দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার: অপহরনকারী মুন্না আটক
আসাদুজ্জামান:
সাতক্ষীরা থেকে অপহরণের একমাস পর দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী মোছা: সুমাইয়া খাতুন (১৭) নামের এক কিশোরীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ জুন) রাতে যাত্রাবাড়ি থানার কাজীরগাও এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরনকারী মুন্নাকে। আজ শনিবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ আমিনুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরনকারী মুন্না (২৪) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার শেখদি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান এ সময় সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সরদার পাড়া এলাকার নুর উদ্দীন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কন্যা সুমাইয়া খাতুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে রসুলপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোচিং করতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সংগ্রাম হাসপাতালের সামনে থেকে তার মুখে রুমাল দিয়ে চেতনানাশক প্রয়োগ করে তাকে অপহরন করে ঢাকার যাত্রাবাড়ী কাজীরগাও এলাকায় নিয়ে যায় মুন্না। সেখানে তাকে একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং এ আটকে রেখে ভয়ভীতি ও শারিরীক নির্যাতন করা হয়।
এদিকে, অপহরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা নূর উদ্দিন মুহাম্মদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তন্ময় মোহন্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকসদল তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহৃত সুমাইয়া ১০ দিন পর কৌশলে তার চাচা হেলাল উদ্দীনকে “ইমোতে” কল দিয়ে বলে যে, ” চাচা আমাকে বাচাও, আমি এখান থেকে বের হতে পারছিনা” বলে আর্তনাদ প্রকাশ করে। এর পরপরই পুলিশ তাদের খোঁজা শুরু করেন। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রতার রাতে অপহরনকারী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসাথে অপহরনের শিকার সুমাইয়া খাতুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তারেক বিন আজিজ প্রমুখ।