বেনাপোল বন্দরে পিমা সিকিউরিটি ইনচার্জ মিজানের সীমাহীন দুর্নীতি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের বেনাপোল বন্দরের বেসরকারী সিকিউরিটি সংস্থা পিমার ইনচার্জ মিজানের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০১৪ সালে বেনাপোল বন্দরে যোগদান করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চাকরী করে বদলী হয়ে যায়।পূনরায় একই সংস্থায় ২০১৯ সালে যোগদান করে অদ্যবধি চাকরীরত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পিমা সংস্থার ১৪০ জনের বেতনের টাকা কম দেওয়া,পছন্দমত গেটে ডিউটি দেওয়া,ছুটি দিয়ে বেতন কেটে রাখা,ঈদ,পূজার বোনাস ভাতা কম দেওয়া সহ পিমা সিকিউরিটি সংস্থায় টাকার বিনিময়ে লোক ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে সরেজমিনে বেনাপোল বন্দর ঘুরে জানা যায় পিমা সিকিউরিটি সংস্থার সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে চেকপোষ্ট,ওপেন ইয়ার্ড,আবাসিক এলাকা,বিভিন্ন গোডাউনের গেটে ডিউটি করে।১৪০ জন সদস্যর মধ্যে ৮ জন নারী সদস্য রয়েছে,তারা শুধু মাত্র চেকপোষ্টে ডিউটি করে।
পিমা সংস্থায় ১শ৪০ জন সদস্য থাকলেও সব সময় ২০/৩০ জন সদস্য ছুটিতে থাকে।কিন্ত তাদের বেতনের টাকা দেওয়ার সময় ছুটি কালিন টাকা মিজান কেটে রাখে।
পিমার সদস্যরা ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করলেও বোনাস বাবদ এ বছর ৪ হাজার ৭শ২০ টাকা বোনাস ধার্য করা হয়। কিন্ত সংস্থার সদস্যদের দেওয়া হয় ৭ হাজার ২০ টাকা। অবশিষ্ট জন প্রতি ২ হাজার ৭শ টাকা ইনচার্জ মিজানের পকেটে যায়।কোন সদস্য যদি ছুটিতে যেতে চায় কোন বাধা ছাড়া ছুটি দেওয়া হয়।কিন্ত ছুটি শেষে বেতন দেওয়ার সময় ঐ সদস্যের ছুটি থাকা কালীন বেতনের টাকা মিজান কেটে নেয়।
এ ছাড়াও পছন্দমত গোডাউনের গেটে ডিউটি দিতে জন প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।গেটে ডিউটির কারনে মালামাল চুরিতেও পিমার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।দীর্ঘদিন চাকরী করার সুবাদে পিমার সংস্থায় চাকরী দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে পিমা সিকিউরিটির সংস্থা ইনচার্জ মিজানের সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন দীর্ঘদিন বেনা পোল বন্দরে আছি এ জন্য একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।মূলত এ সংস্থায় এই এলাকার লোক বেশি চাকরী করে।
পিমা সিকিউরিটি সংস্থা ইনচার্জ মিজানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলি পিমা সংস্থার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে অতি সত্বর মিজানকে বদলী করা হলে পিমা সিকিউরিটি সংস্থার সুনাম অব্যাহত থাকবে।