মার্কিন মাইক্রন চিপে চীনের নিষেধাজ্ঞা সহ্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন চিপ জায়ান্ট মাইক্রনের মেমরি চিপ কেনার ওপর চীনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ‘সহ্য করবে না’ যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, এই ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ নিয়ে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে দেশটি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো।
গত শনিবার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক কাঠামো নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রাইমন্ডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মাইক্রনের বিরুদ্ধে চীনের নেওয়া পদক্ষেপের ‘তীব্র বিরোধীতা করে।
“এরা আসলে কোনো ভিত্তি ছাড়াই একটি একক মার্কিন কোম্পানিকে শিকার বানিয়েছে। একে আমরা সহজ অর্থে ‘অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ’ হিসেবে দেখি। আমরা এটি সহ্য করব না। আর এমনও মনে করি না যে তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে।” –বলেন তিনি।
২১মে চীনের সাইবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না (সিএসি)’ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি তাদের নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার ব্যবস্থার পর্যালোচনায় ব্যর্থ হয়েছে ও চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোয় মাইক্রনের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে।
রায়মন্ডোর এই সিদ্ধান্তে আরও উল্লেখ আছে, জি৭’র বিভিন্ন শিল্পনেতা চীনের এই অর্থনৈতিক জবরদস্তি পেছানোর উদ্দেশ্যে নতুন উদ্যোগে সম্মত হওয়ার একদিন পর এই পদক্ষেপ এলো।
“জি৭ ছাড়াও আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি, এই সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি চীনের বাজার বিরোধী কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা নিজ অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
গেল বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও’র সঙ্গে পরিচালিত এক বৈঠকেও মাইক্রনের বিষয়টি তুলে ধরে ধরেন রাইমন্ডো।
তিনি আরও বলেন, সরবরাহ চেইন ও আলোচনার অন্যান্য স্তম্ভের ভিত্তিতে তৈরি ‘আইপিইএফ’ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি ‘চিপস অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত আইনের অধীনে পরিকল্পিত পাঁচ হাজার দুইশ কোটি ডলারের মার্কিন বিনিয়োগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
“চিপস অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে বিনিয়োগের লক্ষ্য হলো, আমাদের অভ্যন্তরীণ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন শক্তিশালী করা। এর পরও, আইপিইএফ সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণকে আমরা স্বাগত জানাই।” –বলেন রাইমন্ডো।
“ফলে আমরা আশা করি, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোর বিভিন্ন কোম্পানিও এই তহবিলে অংশ নেবে।”
সূত্র : রয়টার্স