কলারোয়ায় স্ত্রী-কন্যাকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন আফ্রিকা প্রবাসী
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
কলারোয়ায় আফ্রিকা প্রবাসী স্ত্রী-কন্যাকে হারিয়ে বিচার চেয়ে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। শনিবার (২৭ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন মানুষের কাছে তার স্ত্রী-কন্যার কথা তুলে ধরে বিচার চাইতে দেখা গেছে।
আফ্রিকা প্রবাসী উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুস সালাম বলেন, তিনি অতিকষ্ট করে টাকা যোগাড় করে আফ্রিকায় চলে যান। চলে যাওয়ার সময় তিনি স্ত্রী নাছরিন নাহার ও একমাত্র শিশু কন্যা ফারিয়া সুলতানা স্মৃতিকে বাড়ীতে রেখে যান। দীর্ঘ সাড়ে ৪বছর পর বাড়ীতে এসে দেখেন তার ঘরে কিছুই নেই। স্ত্রী-সন্তানকেও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি প্রবাসে থাকা কালিন সময় স্ত্রীর নামে প্রতিমাসে ৫০/৬০ হাজার করে টাকা পাঠাতেন। তিনি এ যাবৎকাল তার স্ত্রীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ৮লাখ ৭৭ হাজার ও বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ৩লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। এছাড়া স্ত্রীকে স্বর্ণের গহণা দিয়েছি ২লাখ টাকার। তিনি পরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামে তার বাপের বাড়ীতে আছেন।
তিনি এর কারন জানতে চাইলে স্যালক শাহাবুজ্জামান বলেন আমার বোন তোকে তালাক দিয়েছে বলে অশালিন কথা বলে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে
আমার মোবাইল ফোনে ভুয়া একটি তালাকনামা পাঠায়। আমার সারা জীবনের আয় আমার টাকা পয়সা সব নিয়ে চলে গেছে স্ত্রী নাছরিন নাহার। আমি আমার টাকা ও কন্যা সন্তান ফেরত চাই। আফ্রিকা প্রবাসী আব্দুস সালাম আরো বলেন-তার ২০১০সালে বিবাহ হয়। পরিবারের সকলের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়। বিয়ে পরে তিনি জানতে পারলেন তার স্ত্রীর এর আগে দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। তার সাথে প্রতারনা করে বিয়ে দিয়েছে। তার পরেও শিশু কন্যা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সব মেনে নিয়ে ঘর সংসার করছিলেন।
তিনি আরো বলেন-স্যালক সাহাবুজ্জামান তার স্ত্রী-কন্যাকে বাড়ীতে আটকে রেখেছে। তিনি এসব কথা বলে কানতে কানতে তার টাকা পয়সা, স্বর্ণ ও স্ত্রী-কন্যা সন্তান উদ্ধারের জন্য সাতকীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।