নোবেলকে নিয়ে যে বার্তা দিলেন তার বাবা
অনলাইন ডেস্ক:
জি বাংলার ‘সারেগামাপা’খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। কিন্তু নানা সময়ে নানা বিষয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নোবেলের। কিছুদিন আগে অগ্রিম টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপরই মাদক, স্ত্রীকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসে। পরে তিনি মুচলেকা দিয়ে জামিন পান।
এবার নোবেলের নানা বিষয়ে মুখ খুললেন তার বাবা মোজাফফর হোসেন নান্নু। তিনি বলেন, ‘নোবেলকে আটকের দিন ডিবি কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনে নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তারা একসঙ্গে সংসার করবে কিনা। এ সময় নোবেল সংসার করতে চাইলেও সালসাবিল অসম্মতি জানায়।’
তিনি বলেন, হারুন সাহেব (ডিবিপ্রধান) বললেন— তোমরা তোমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নাও, তোমরা সংসার করবা কি করবা না। সালসাবিল বলেছে, না। আমি সংসার করব না। এখন তাদের বিষয় আমার তো কিছু বলার রাইট নাই। এমনকি বিয়ের সময়ও ছিল না।’
অভিমান করে দূরে সরে আছেন জানিয়ে নোবেলের বাবা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ত্যাজ্য করা যায়? এটি একটি হাস্যকর বিষয়। সন্তানের কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে মানুষ দূরে সরে থাকতে পারে। এটা হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও এটা নেই। এটা ইসলামসম্মতও না, এমনকী বাংলাদেশের আইনসম্মতও না। তবে বাবা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে কষ্ট পেলে যে দূরে সরে থাকার কথা বলে। এইটা আরকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা তার সমালোচনা করে তারা তাকে ভালোবেসেই সমালোচনা করে। তার যখন ভালো সময় গেছে, সে যখন মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে, তার যখন এই শিল্পের সঙ্গে আন্তরিকতা ছিল তখন মানুষ তাকে সেভাবেই এপ্রিশিয়েট করেছে। আবার সে যখন লাইনচ্যুত হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই মানুষ যারা তার ফ্যান ফলোয়ার, যারা তার ভালো চায়, সেখান থেকে যখন মানুষের আশা ভঙ্গ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ তার বিপক্ষে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে আমি তাদের সাধুবাদ জানাই এ কারণে, তাদের যেটা করা উচিত, তারা সেটাই করছে। আবার যদি সে কোনো দিন সঠিক জায়গায় আসতে পারে, আমি মনে করি আবারও তার সম্ভাবনার কথাই বলবে। এর পেছনের ব্যর্থতার কথা আর বলবে না। নোবেল আবারও ফিরে আসবে এটা আমার বিশ্বাস।’
সবশেষ আশাবাদ ব্যক্ত করে নোবেলের বাবা বলেন, ‘প্রত্যেকটা বাবার আশা থাকে তার সন্তানরা এ দেশের সেরা হোক। যে যেই লাইনে থাকে সে সেই লাইনের সর্বোচ্চ স্থানে থাকুক। আমারও বাবা হিসেবে সেটাই চাওয়া।’