শ্যামনগরে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যাসনগর :
শ্যামনগরে অর্থ আত্নসাৎতের অভিযোগে বহিস্কার হওয়ার পরে আবারও নতুন করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারের দেওয়া টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্যরা।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে অর্থ আত্মসাৎতের দায়ে কয়েকমাস বহিষ্কার ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির নামের তালিকায় নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে ৬৬ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে এতোসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক সভাপতি,ভূমি দাতা, সহকারী শিক্ষকসহ অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি পারভেজ বলেন, গত ২০২০/২১/২২ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের বরাদ্দের হিসাব জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করলে তাতে দেখা যায় বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজের বরাদ্দের ৮ লক্ষ টাকা উঠালেও তিনি বিদ্যালয়ে কোন কাজ করেননি। খাতা কলমে কাজ দেখিয়ে টাকাগুলো আত্মসাত করেছে। যেসব কাজের জন্যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার কোন কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।
সাবেক সভাপতি নাসির গাজী বলেন, স্কুলে কাজ করছে ৮ লক্ষ টাকার। কিন্তু প্রধানশিক্ষক আমাদের ভাউচার দেখতে চাইলেও দেখাতে পারছে না ।
অভিভাবক নাসিমা বেগম বলেন, ছেলে নাহিদ হাসান নয়ন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। আজ প্রর্যন্ত উপবৃত্তি টাকা পাইনি এজন্য একাধিক বার স্কুলে আসছি কোন সুরাহা মেলেনি। একপর্যায়ে শীটে দেখা যায় আমার ছেলের নামের সাথে প্রধান শিক্ষকের নাম্বার দেওয়া। ওই নাম্বারে টাকা উঠান। তিনি আরও বলেন শুধু আমার ছেলে মতো অনেকের টাকাও প্রধান শিক্ষকের নাম্বারে আসে।
প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো ঠিক না। কিন্তু২০১৬ সালে বহিস্কার হওয়ার বিষয়টি স্বিকার করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: রফিজ মিঁয়া বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয়ও ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। দূর্নীতির কোন ছাড় নেই।