সাতক্ষীরায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ঠ মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ১৩ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষতায় রয়েছে। আমরা অনেকেই চাই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ চায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক। তবে নির্বাচনে ভোটার হিসেবে অধিকার দিন। জবাবদিহিতার মাধ্যমে মানুষের জন্য কাজ করুন। হাবিজাবি কাউকে ক্ষমতায় আনবেন না। তাহলে আমরা মানুষের অধিকার রক্ষা করতে পারবো।
রবিবার বিকেল ৬টায় সাতক্ষীরা এলজিইডি অফিসের সম্মেলন কক্ষে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সাতক্ষীরা শাখা আয়োজিত সাতক্ষীরার মানবাধিকার পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সাতক্ষীরা শাখার আহবায়ক অ্যাড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অত্যাচার ও অনাচারের বিচার হচ্ছে না। বিচারহীনতার একটি সংস্কৃতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। নদী খনন, নদী দূষণ, নদীরেত বর্জ ফেলা, নদী দখলের ঘটনা নিয়ে নানা বিধ প্রতিবাদ হচ্ছে। এরপরও কমছে না। এত বিচার বিভাগের মধ্যে একটি বিরাট গলতি আছে বলে প্রমাণ করে। কথা না বলার দায়িত্ব এখন বেড়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, সংবিধান অনুযায়ি অপরাধের পরিধি বাড়িয়ে কোন মানুষকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। যারা সৎভাবে সুস্থভাবে জীবন যাপন করেন তাদের দায়িত্ব মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা।
অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি অধ্যাপক আবু আহম্মেদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ। এ ছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, প্রফেসর ইদ্রিস আলী, অ্যাড. অঅজাদ হোসেন বেলাল, মুনসুর রহমান, এম কামরুজ্জামান, দীলিপ দেব, গৌর পদ দাস ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে ইলেকট্রিক শক ও পাশবিক নির্যাতন, তামান্নাকে পুড়িয়ে হত্যা, এক নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া, কলারোয়ার কেঁড়াগাছির আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত কলেজ শিক্ষক মালেকুজ্জামানকে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে একই গ্রামের বাবলুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালেক বলে কারাগারে পাঠানোসহ সাতক্ষীরার মাবাধিকার পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সভায় বিগত তিন মাসে সাতক্ষীরা জেলায় সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরা হয়।