নড়াইলের মিরাপাড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি কেটে পাড়নির্মাণ,বালি দিয়ে ভরাটের উদ্যোগ
নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইল সদর উপজেলার ১২১ নং মিরাপাড়া মৌজায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোর পূর্বক ঘেরের সমতল জমি কেটে পাড় নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে রামসিদ্ধি গ্রামের প্রভাবশালী আল ইমাম সিকদারের বিরুদ্ধে। মিরাপাড়া মৌজার ৬৭৯ নং দাগের ৩ একর ৪৭শতক জমির মধ্যে উত্তর-পূর্বপার্শ্বের মিরাপাড়া-রামসিদ্ধি সড়ক সংলগ্ন ৬০শতক জমির শুধুপাড় কেটেই ক্ষান্ত হননি আল ইমাম। জমি ভোগ দখলে নিতে ওই জমিতে বালি ভরাটের জন্য তোড় জোড় চালাচ্ছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য গোলাম নবী শেখ ওরফে নবীর হোসেন শেখ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে,নড়াইল সদর উপজেলার ১২১ নং মিরাপাড়া মৌজার আর এস৬৭৯ নং দাগে ৯একর ৩৭শতক জমির মধ্যে ক্রয়সূত্রে ৩একর ৪৭ শতক জমির মালিক হয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন মিরাপাড়া গ্রামের গোলাম নবী শেখ ওরফে নবীর হোসেন শেখ। এছাড়া ১একর ২০শতক জমির মালিকানা প্রাপ্তহয়ে ভোগ দখল করছেন তার স্ত্রী পারুল সুলতানা। বাকি জমিও ক্রয় সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখল করে আসছেন গোলাম নবী শেখ ওরফে নবীর হোসেন শেখের নিকটাত্মীয়রা। নালিশী ওই জমিতে ফলজ ও বনজ গাছগাছালিসহ মাছের ঘের রয়েছে। জমির সাবেক মালিক কানাইলাল ঘোষের কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্যে ক্রয় করে কবলা দলিল মূলে জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়েছেন ভোগ দখল কারীরা।
গোলামনবী শেখ ওর ফেনবীর হোসেন জানান,রামসিদ্ধি গ্রামের প্রভাবশালী আল ইমাম সিকদার নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দলিল তৈরি করে নালিশী ৬০শতক জমি (যার দৈর্ঘ্য ৫৮০ফুট এবং প্রস্থ ৪৫ফুট) জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত ১৮ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) আদালতে মামলা করি। আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ধারা জারি করেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষ আল ইমাম সিকদার নালিশী জমির মাটি কেটে পাড় তৈরি করেছেন এবং পাইপ দিয়ে বালি ভরাটের জন্য তোড় জোড় চালাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগে জানান। এছাড়া তিনি (গোলাম নবী শেখওরফে নবী) নালিশী জমিতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার চেয়ে নড়াইল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারক গত ১৬ মে তাঁর আদেশে এ মামলার ১নং বিবাদী আল ইমাম সিকদারকে আগামি তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়,জমির দখল নিয়ে ১৪৪ ধারা জারির পর ওই জমি নিয়ে যাতে কোন প্রকার দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও শান্তিভঙ্গ না হয় সেজন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি) যথযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের আদেশের পর সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক আহসান হাবীব নোটিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে আদালতের পরবর্তী ধার্য্যদিন আগামি ১৫জুন পর্যন্ত নালিশী জমিতে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন এবং শান্তি-শৃংখলা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আল ইমাম সিকদার বলেন, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আমি মাটিকেটে পাড় দিয়েছি। আমি অন্যেরজমি দখল করি নাই। আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করেছেন কিনা এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।