মিয়ানমারে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা, বাড়িঘর ছেড়েছে লাখো মানুষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলেই সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রোববার সকাল থেকেই সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রবল বাতাস বইছে, যার ফলে ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের রামানাথন বালাকৃষ্ণনান। খবর মিয়ানমার নাউ
রামানাথন বালাকৃষ্ণনান আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা রাখাইন রাজ্য ও চীনের কিছু এলাকায় আঘাত করবে। এরই মধ্যে এখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। মিয়ানমারে যে মানবিক সংকট চলছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এটি আরও তীব্রতর হবে।
মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ সিত্তে, কিয়াকপিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও, মুনাং শহরের জন্য ‘লাল’ (রেড) স্তরের দুর্যোগসতর্কতা জারি করেছে। একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্যের সরকার।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলের আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার বিকেলে রাখাইনের সিট্যুয়ের কাছে আঘাত হানতে পারে এবং এর আগেই লক্ষাধিক রাখাইন বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।
রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছে। সংঘাতের কারণে অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এছাড়া অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। রাখাইনে ইতোমধ্যে ৬০ লাখ মানুষ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ সংকট আরও তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন বালাকৃষ্ণনান।