টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতি
অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেড়েছে বাতাসের গতিও।
ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার (১৪ মে) ভোর থেকেই এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে কক্সবাজারে। তবে প্রতি মুহূর্তেই রূপ পরিবর্তন করছে মোখা। এখন পর্যন্ত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বজায় রেখে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় এর গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
শনিবার (১৩ মে) রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর আগে দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের মধ্যে মোখার একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মোখা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর এবং আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ১৩ মে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর এবং ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ৮ থেকে ১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।