আইরিশদের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক:
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। অন্তত সাম্প্রতিক বিবেচনায় ব্যাট হাতে হতাশ করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অল্প পুঁজিতে বোলাররা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হলেও বৃষ্টি এলে বন্ধ হয় ম্যাচ। পরে পরিত্যক্তই ঘোষণা করা হয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে চায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে আইরিশদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে তামিম ইকবালের দল।
আজ শুক্রবার (১২ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের। টসে জিতে আগে বোলিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ১৫মিনিটে। এরপর খেলা মাঠে গড়ানোর কথা। তবে বৃষ্টির কারণে কোনোটিই সময়মতো হয়নি। কখন বৃষ্টি থামে, তার ওপর নির্ভর করছিল টসের সময়। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাঠে গড়ালো দুদলের লড়াই।
ইংলিশদের এই কন্ডিশন আইরিশদের চেনা। যা তাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। সেখানে অচেনা কন্ডিশনে বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি ভিন্ন। এমনিতেই এ সিরিজটা অন্য যে কোনো সিরিজের চেয়ে বাংলাদেশের জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই প্রথম এতো কম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে তামিমের দলকে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা আগেই ইংল্যান্ড গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে অবশ্য খুব বেশি লাভ হয়নি। কারণ, টানা বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচের পাশাপাশি পণ্ড হয়েছে বেশ ক’টি অনুশীলন সেশন। তবে, বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতেই প্রতিপক্ষকে বধ করার ছক কষছে তামিম-সাকিবরা।
সিরিজটির গুরুত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, এটি আইসিসি সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে শেষ হওয়া সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া এই সিরিজটি সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত। তাই, সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সুপার লিগে নিজেদের পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলি, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।