কলারোয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদ সভা
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন-আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের কর্মীদের সুনাম নষ্ট করার জন্য জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী
আসাদুজ্জামান সাহাজাদার কছে বিএনপি কর্মী তরিকুল ইসলাম এসে বলেন ভাই আমার দাউদ মোটরস চালাতে পারছিনা। দয়া করে আমাকে একটু হেল্প করুন। সরল বিশ্বাসে বিএনপি কর্মী তরিকুলকে বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমানে ৪২লাখ টাকা পাওনা আছে। এর মধ্যে তরিকুল তার দাউদ মোটরস শো-রুমটি গত ২৮ সেপ্টম্বর ২০২২ সালে ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে স্টাম্প করে দেন। শো-রুমটি চলাকালে গোপনে তরিকুল ইসলাম জিয়া নামের এক ব্যক্তিকে ভুল বুঝিয়ে বিক্রয় করে দেয়। যা পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা জানতে পেরে তার গলার চেইন বিক্রয় করে ৫লাখ টাকা দিয়ে জিয়ার কাছ থেকে ওই শো-রুমটি পূর্ণরায় ফেরৎ নিয়ে নেয়। এর মধ্যে এলাকায় শো-রুম বিক্রয়ের কথা জানা জানি হলে বিভিন্ন এলাকার মানুষ তরিকুলকে খুজতে থাকে।
এক পর্যায়ে তরিকুল তাদেরকে টাকা ফেরৎ না দিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে একটি হয়রানী মূলক চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করে। যা সম্পর্ন হয়রানী করা ছাড়া আর কিছুই না। আলোচনা সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা বলেন, বিএনপি কর্মী তরিকুল ইসলামের মায়া কান্নায় পড়ে আমি টাকা দিয়েছি। জানতাম না যে সে এলাকায় আমার মতো বহু মানুষের কাছ থেকে দুই কটি টাকা নিয়ে আর ফেরৎ দিচ্ছে না। সে আমার টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো চাঁদাবাজীর মামলা দিয়েছে। তাকে এলাকার বহু মানুষ খুজে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে তরিকুল পলাতক রয়েছে। আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা হিসেবে বিএনপি কর্মী তরিকুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।