ঘূর্ণিঝড় মোখা: বড় ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যা বুধবার (১০ মে) দুপুরের আগেই রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তীব্র গতি নিয়ে ‘মোখা’ নামে সম্ভাব্য ঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার ৫১টি সম্ভাব্য যাত্রাপথের বেশিরভাগ পথ নির্দেশ করছে যে, এটি (মোখা) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা’র বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। আর এ গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল অতিক্রম করলে, এ দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জলবায়ু গবেষক পলাশ আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার এবং বরিশাল বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির হতে পারে।