সাতক্ষীরার শ্যামনগরে রসনা তৃপ্তির আগেই ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ মামা-ভাগ্নে গ্রেপ্তার
রঘুনাথ খাঁ:
বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তাদের দাওয়াত করে রসনা তৃপ্তির আগেই ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বীমা কর্মী ও তার মামা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাধঘাটা খৈতলা নামকস্থান থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাধঘাটা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৮) ও তার মামা একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আজাদ হোসেন (৩৫)।
বাধঘাটা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, তিনি মার্কেন্টটাইস ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার কর্মকর্তারা হরিণের মাংস খেতে চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ি সোমবার দুপুরে ওই কর্মকর্তাদের নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেন। দাওয়াত দেওয়া হয় মামা আজাদ হোসেনকেও। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি কালিগঞ্জের জনৈক মোমিনের কাছ থেকে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে ১২ কেজি মাংস কেনেন। এর কিছুক্ষণ পর সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক শাখাওয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ও তার মামাকে মাংসসহ গ্রেপ্তার করে।
শ্যামনগর উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, জব্দকৃত মাংস পরীক্ষা করে হরিণের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় উপপরিদর্শক শাখাওযাতুল ইসলাম বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।