কাদাকাটিতে মৎস্য ঘেরে পানি উঠানো নিয়ে হামলায় আহত-৩, আটক-৩
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে মৎস্য ঘেরে পানি উঠানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি ও আক্রমনকারীদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) বিকালে কাদাকাটি ইউনিয়নের যদুয়ারডাঙ্গা বাজারে।
ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা বিলে ঝিকরা গ্রামের শীতল মন্ডলের ছেলে ঝড়ু মন্ডলের মৎস্য ঘের আছে। তারসহ পাশের ঘেরগুলোতে মন্টু সাহেবের গেটের পানি ক্যানেলের মধ্যদিয়ে এই এলাকার ঘেরগুলোতে উঠে থাকে। কিন্তু কিছুদিন ধরে ঝড়ু ও কিনা ক্যানেলে বাধ দিয়ে অন্যদের ঘেরে পানি যাওয়ার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এনিয়ে পূর্ব কাদাকাটি গ্রামের হাজু পদ সরকারের ছেলে সন্তোষ সরকারের সাথে ঝড়ুর দ্বন্দ্ব হয় মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে। দ্বন্দ্বের জের ধরে পরবর্তীতে বিকাল ৪.৩০ টার দিকে ঝড়–, টেংরাখালী গ্রামের হরেন সরকারের ছেলে কিনা ও লক্ষীকান্ত মন্ডলের ছেলে কার্ত্তিক যদুয়ারডাঙ্গা বাজারে গিয়ে সন্তোষ ও ভবেন মন্ডলের ছেলে মিহিরকে ডেকে পুনরায় কথা কাটাকাটি করেন।
এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে ফোন করলে দুটি মোটর সাইকেলে চেপে শম্ভু, রাখাল ও মিলনসহ ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রকাশ্য দিবালো বহু মানুষের সামনে সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা চালায়। এসময় অস্ত্রের আঘাতে মিহির, সন্তোষ ও বিশ্বনাথ রক্তাক্ত জখম হন। স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর কুমার সরকার দিপকে মোবাইল করলে পুলিশ ও চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসআই মিঠুন গুরুতর আহত মিহির, সন্তোষ ও বিশ্বনাথকে এম্বুলেন্সযোগে সাতক্ষীরা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আপটকৃকত ঝড়ু, রাখাল ও শম্ভুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
এলাকাবাসী জানান, আক্রমনকারীরা মাদকাসক্ত। তাদের কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ট এবং তাদের ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।