শ্যামনগর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা রোগীদের নিয়ে চলছে ব্যবসা

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা কমপ্লেক্সের
জরুরী বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা রোগীদের নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা এমন অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান,রোড এক্সিডেন্ট,সড়ক দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগীদের নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা। তারা আরো বলেন,জরুরী বিভাগে কোন রোগী গেলে তাৎক্ষণিক একটি সিন্ডিকেট চক্র ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে না দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং বলে সাতক্ষীরা নিয়ে যেতে হবে তা না হলে রোগী মাঝপথে মারা যাবে। এসব কথা বলে রোগীর স্বজনদের কে দুর্বল করে টাকার কন্টাক নিয়ে এবং ডাক্তারদের সহযোগিতা এই চক্রটি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের চুনারব্রিজ গ্রামের মুজিবর ঢালীর ছেলে মোস্তাকিম জানান,ঈদুল ফিতরের পরের দিন আমার ছোট ভাই মিন্টু ঢালী(৩০) সড়ক দুর্ঘটনা আহত হলে তাৎক্ষণিক উপজেলা হাসপাতাল জরুরী বিভাগে নিয়ে আসি। তখন জরুরী বিভাগের কর্মরত ডাক্তার রোগী দেখার আগে হাসপাতালে থাকা স্বেচ্ছাসেবক নামে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য একই উপজেলা ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমাতলি গ্রামের রনি ও রবিন বলে রোগীর অবস্থা ভালো না এখনি সাতক্ষীরা নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে রোগী মারা যেতে পারে। যদি আপনি টাকা দেন তাহলে এখানে আমরা ট্রিটমেন্ট শুরু করব। তখন আমি নিরুপায় হয়ে তিন হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাধ্য হই। আমার ভাই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি ২.৫০০ টাকা দিয়েছি কিন্তু দুঃখের বিষয় হল ৫০০ টাকার জন্য আমার এবং আমার রোগীর সাথে প্রচুর খারাপ ব্যবহার করছে। ৫০০ টাকা না দিলে নাকি আমার ভাইকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে দেবে না।এই যদি হয় সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা তাহলে সাধারণ অসহায় মানুষগুলো কাদের কাছে চিকিৎসা নেব।
ভুক্তভোগী মাজাট গ্রামে আদম আলী জানান,গত সোমবার ২৪ শে এপ্রিল আমার ভাগ্নে মাহমুদপুর গ্রামের সোহরাবের ছেলে হাফেজ আল মামুন সড়ক দুর্ঘটনা আহাত হয়। তাৎক্ষণিক শ্যামনগর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে একই স্বেচ্ছাসেবক সিন্ডিকেট সদস্যরা রোগীর অভিভাবক কে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এবং সাতক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখন অনুরোধ করলে তারা বলে আমাদেরকে এক হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে আমরা চিকিৎসা করবো। তখন আমি নিরুপায় হয়ে ৭০০ টাকা দিতে শিকার হই তারপর পরে আমার ভাগ্নেকে চিকিৎসা শুরু করে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার হাসপাতালে কোন রোগীদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নিয়ে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা করার নিয়ম নাই। স্বেচ্ছাসেবকরা জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কে শুধুমাত্র সহযোগিতা করবে। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)