শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যেও অবদান রাখে কাঁচাআম
স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা ডেস্কঃ
গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই কাঁচাআমের শরবত পান করেন। অনেকে আবার কাঁচাআমে লবণ মাখিয়ে খেতেও পছন্দ করেন।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন তরকারি, ডাল কিংবা চাটনিতে মিশিয়েও কাঁচাআম খাওয়া হয়। কিন্তু কাঁচাআম শুধু স্বাদেই নয়, ভালো স্বাস্থ্য রাখতেও অবদান রাখে।
ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটসহ প্রচুর পুষ্টি রয়েছে কাঁচাআমে। তাই সবার কাঁচাআমের গুণাগুণ ও উপকার সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
অন্য তাজা ফলের তুলনায় চিনির পরিমাণ কম থাকে কাঁচাআমে। এক কথায় বলতে গেলে কাঁচাআমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন কাঁচাআম।
ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচাআম হার্ট সুস্থ রাখে। এই দুটি উপাদান রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। কাঁচাআমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ ছাড়া আমে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। ইমিউনিটি বাড়ায় ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে কাঁচাআমে। এসব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচাআম। কাঁচাআমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম। ফলে খাবার খুব ভালোভাবে হজম হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচাআমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, কাঁচাআম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে অবদান রাখে। কাঁচাআমে খুব কম ক্যালোরি থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও চিনিও কম থাকে। সুতরাং যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েটে রাখতেই পারেন কাঁচাআম।
কাঁচাআমে ভিটামিন এ থাকায় চোখও ভালো রাখে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন থাকে কাঁচাআমে। চোখের রেটিনা ভালো রাখতে এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী।