বাংলাদেশি আলুর চাহিদা বাড়ছে বিশ্বে
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত আলুর চাহিদা বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার শেরপুরের আলু রফতানি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া, রাশিয়া ও শ্রীলংকায়। আলু দিয়ে মুখরোচক চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি হওয়ায় বিদেশে দিন দিন আলুর চাহিদাও বাড়ছে। এ বছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শেরপুরের প্রায় ২০০ টন আলু রফতানি করা সম্ভব হবে।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আবাদ হয়েছে এরচেয়ে অনেক বেশি। সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৫ হাজার ২২২ হেক্টর জমিতে ৮৮ হাজার ৭৭৪ টন আলুর ফলন হয়েছে। উৎপাদিত এসব আলুর বাজারমূল্য ১৮৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
শেরপুরের মাঠে মাঠে আলু তোলার দৃশ্য চোখে পড়ছে। সবার মুখে আনন্দের হাসি। ফলন ভালো হওয়ায় তারা বেশি লাভের আশাও করছেন। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন আলু চাষ বাড়ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, চলতি বছর ৫ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা বিভিন্নভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ায় আলু চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে।
বিএডিসির শেরপুর জেলা উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ বছর প্রায় ২০০ টন আলু মালয়েশিয়া, রাশিয়া ও শ্রীলংকায় রফতানি করা সম্ভব হবে। আলু চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।