আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর
নিউজ ডেস্কঃ
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ শনিবার সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অর্ধকোটি মানুষ। এর আগে, শুক্রবার দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে বিগত কয়েক বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর নানা বিধিনিষিধের মধ্যে উদযাপন করতে হয়েছে। এবার করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় পুরোদমে ঈদ ঘিরে আগের মতো আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফিরে এসেছে।
এবার রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে প্রধান জামাত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সেখানে ঈদের নামাজ পড়বেন। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এবার শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউেন্ডশন।
প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন ক্বারী মো. ইসহাক মুয়াজ্জিন।
দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়, ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম হাফেজ মো. আব্দুল মান্নান।
তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক ইমাম হিসেবে থাকবেন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
আর পঞ্চম ও সবশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া পাঁচটি জামাতে নির্ধারিত কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা মো. মুজাহিদ আল সাফিদ জানান, ডিএনসিসির ২ হাজার ৭৭টি মসজিদ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে ২৭০টি স্থানে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, এবার ডিএসসিসির আয়োজনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মসজিদগুলোতে জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।