মনপুরা বিধবা মা ও মেয়েকে চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্যাতন, থানায় অভিযোগ

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার মনপুরা উপজেলা আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন হাওলাদার কর্তৃক বিধবা মা ও মেয়েকে মারধর করেন।

বিধবা মহিলা মনপুরা থানা অভিযোগ করে উন্নত চিকিৎসা জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত ১৮.০৪.২০২৩ রোজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার সময় চেয়ারম্যান অসহায় ও দুঃস্থ বিধবা মহিলা ছকিনা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষকে ১০ কেজি করে চাউল দেন, এই খবর পেয়ে বিধবা ছকিনা চেয়ারম্যান বাড়ি যান।

চেয়ারম্যানের বাড়িতে ২ঘন্টা বসে থাকার পর, চেয়ারম্যান ঘুম থেকে ওঠে, খালি হাতে পিরিয়ে দেন চকিনা সহ আরো কয়েকজন মহিলাকে। চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে খালি হাতে পিরার সময়, চেয়ারম্যান এর খামার বাড়ি থেকে কয়েকটা আম ছিরে নেন ছকিনা সহ ৩/৪জন মহিলা। আম ছিরার সময় চেয়ারম্যান এর খামারে থাকা লোকজন দেখে আমগুলো রেখে ও চেয়ারম্যান কে খবর দেন।

আম ছিরার খবর শোনে, চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ছকিনাকে চৌকিদার দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ডেকে এনে টয়লেটে আটকে রাখেন। চেয়ারম্যান টয়লেটে আটক রাখার খবর শোনে ছকিনার মা বৃদ্ধা মহিলা ইউনিয়ন পরিষদে ছোটে আসেন।

ছকিনার মার উপস্থিতে ছকিনাকে মারতে থাকেন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন হাওলাদার। এক পযার্য়ে ছকিনার মা মেয়েকে যখন ধরতে যায়, তখন চেয়ারম্যান ছকিনাকে রেখে তার বৃদ্ধ মাকে মারতে থাকেন।

ছকিনার সাথে থাকা মহিলাগন জানান চেয়ারম্যান সামান্য আমের জন্য আমাদের কে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আমাদের সামনে খুব খারাপ ভাষায় ছকিনাকে গালমন্দ করতে থাকেন।

সাথে থাকা মহিলাগন আরো জানান আমরা যাওয়ার আগে ছকিনা ও তার বৃদ্ধা মাকে মারতে শোনেন ও ছকিনা চেয়ারে বসে হাত ধরে কান্না করে, তাদের সকলকে খুব ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রথমে মনপুরা হাসপাতালে যান তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা।

এই ব্যাপারে জানার জন্য, অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদ আহম্মদ এর ফোনে একাধিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)