বাংলাদেশে ঈদ কি ঠিক দিনে পালিত হচ্ছে?
অনলাইন ডেস্ক:
রোজার ঈদ নিয়ে বাংলাদেশ কী করছে এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ কী করছে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ হিজরি ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনামুল হক।
সময় সংবাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, অনেক আলেম ওলামারা বলে থাকেন আল্লাহ রাসূল বলেছেন ‘হে মুসলিম উম্মাহ তোমরা নতুন চাঁদ দেখে রোজা রাখো, নতুন চাঁদ দেখে ঈদ কর।’ কিন্তু এখানে চাঁদের কথা আল্লাহ রাসূলের হাদিসে কোথাও উল্লেখ নেই। অথচ আল্লাহর রাসূলের নামে এই চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো এই কথাটা সারা দেশে আলেম ওলামাসহ সবাই বলেন এবং এই ভাবেই বংলাদেশে রোজার ঈদ পালিত হচ্ছে।
এনামুল হক বলেন, চাঁদ মানে নতুন চাঁদ নয়, নতুন চাঁদ পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে দেখা যাবে। নতুন চাঁদ পূর্বে প্রান্তে কখনো দেখা যাবে না। অতএব নতুন চাঁদ পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে যখন দেখা যাবে তখন সারা পৃথিবীতে নতুন চাঁদ দেখা গেছে এই খবর প্রচার হয়ে যায়।
হিজরি ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব বলেন, সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাতের দুইজন যদি সাক্ষী দেয় তাহলে তোমরা রোজা রাখো, ঈদ করো। এর অর্থ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যেকোনো দুইজনের সাক্ষী পেলেই সারা বিশ্ব ব্যাপী একই তারিখে ও একই বারে রোজার ঈদ পালন করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বর্তমানে পুরো পৃথিবী একটি দেশের মতো। মুসলিম উম্মাহ একটি জাতি। একটা জাতির একটা চাঁদ, একটাই পৃথিবী অতএব সবখানে একই তারিখে রোজা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) মদীনায় রামাদানের নতুন চাঁদ না দেখায় বাহির থেকে আসা এক বেদুইনের সাক্ষ্য নিয়ে রোজা রেখেছেন। (সহীহ, সুনাহ, তিরমিযি, মাজা, মেশকাত) আবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ না দেখায়, ৩০তম রোজা রাখা অবস্থায় পরদিন বিকেলে এক কাফেলার সাক্ষ্য পেয়ে আল্লাহ রাসূল (সা.) রোজা ভেঙেছেন এবং পরদিন সকালে ঈদ পালন করেছেন। (সহীহ শুনান, সহীহ আবু দাউদ, শুনানে আবু দাউদ)