অমর্ত্য সেনকে শান্তিনিকেতনের বাড়ি ছাড়ার চূড়ান্ত নোটিশ
অনলাইন ডেস্ক:
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শান্তিনিকেতনের জমি খালি করার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে জোরপূর্বক উচ্ছেদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনে জমি বিতর্কের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অমর্ত্য সেন বা তার আইনজীবী গোঁরাচাদ চক্রবর্তী কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তাই অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্তই নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অমর্ত্য সেনকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন-১৯৭১ ধারা ৫-এর উপধারা ১-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে বিতর্কিত ১৩ শতাংশ জমি। আর এজন্য অমর্ত্য সেনকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৬ মের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর-২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নাম্বার ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করা নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসার।
ওই সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে কঠোর পদক্ষেপের গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনে বল প্রয়োগের মাধ্যমেও জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসারকে চিঠি দিয়ে অমর্ত্য লিখেছিলেন, ‘পারিবারিক ওই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে তারই প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।’ চিঠি পাঠিয়ে আলোচনার জন্য তিন মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তিন মাসের বদলে জমি উচ্ছেদের জন্য মাত্র ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, দখলদার উচ্ছেদ আইন-১৯৭১ সালের ১০-ধারায় বলা আছে, যিনি ইজারাদাতা, তিনিই জমির মালিক। তিনি জমির হস্তান্তর, উত্তরাধিকারী উইল করতে পারবেন না। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্যদের। অমর্ত্য বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্য নন, সদস্য হলে ইজারাদাতা হিসেবে স্বীকৃত হতেন। বিশ্বভারতী শতাব্দী প্রাচীন জাতীয় গুরুত্বের প্রতিষ্ঠান। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য বলেও দাবি বিশ্বভারতীর।