নিউ সুপার মার্কেটে আগুন : দোকান মালিক সমিতির সভাপতি যা জানালেন
অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে জিপসাম বোর্ডের কারণে অগ্নিকাণ্ড দ্রুত পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে তিনি এ কথা জানান।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, যে মার্কেটের তিনতলায় আগুন লেগেছে সেটি সেন্ট্রালি এসি করা। এতে ডার্ক সিস্টেম করে জিপসাম বোর্ড দিতে হয়েছে। আমার ধারণা, আগুন যেখানে লাগুক না কেন, জিপসাম বোর্ডের কারণে দ্রুত পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের দল নিউমার্কেট এলাকায় চলে আসে। আমাদের মার্কেটের যে আগুন নেভানো যন্ত্রগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে চেষ্টা করা হয়, পাশাপাশি নিউমার্কেটের যে মসজিদ সেখানে বড় একটি রিজার্ভ ট্যাংক আছে, এখনও সেই পানি দিয়ে কাজ চলছে।
এই ব্যবসায়ী বলেন, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটটি আমাদের নিউমার্কেট একদম লাগোয়া, ফলে তাদের মতো আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে আগুন কোন দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ করে রোজার শেষ দশ দিনে সবচেয়ে ভালো বেচা-কেনা হয়ে থাকে। অন্য সময় কোনো ব্যবসায়ীর কাছে যদি এক টাকা থাকে, এই সময় এসেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা লোন করে থাকেন। তারা রোজার ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসা করে থাকেন।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, অন্য সময়ে কোন ব্যবসায়ীর যদি দিনে দুই থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়, এই সময়ে বেচাকেনা হয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ পর্যন্ত। আর ব্যবসায়ীরা এই সময়ে খুব কমই টাকা বাসায় নিয়ে থাকেন৷ কারণ দোকান বন্ধ করতে করতে রাত ১২টা-১টা বেজে যায়। ওই সময় কেউ ঝুঁকি নিয়ে সারাদিনের বেচা-কেনা লাখ টাকা বাসায় নিয়ে যেতে চান না। ফলে আমরা ধারণা করছি টাকা ভেতরে অর্থাৎ দোকানের ক্যাশ বক্সে ছিল।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ ক্ষতি হলো এই ক্ষতি পুষিয়া নেয়ার মতো অবস্থা নেই। ঈদের আগে কোন ব্যবসায়ী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। গতকাল রাতে যে হাসিমুখে বাড়ি গেছে আজকে সকালে এসে ফুটপাতে বসে কাঁদছে। ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই খারাপ। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া এখন আর কোনো উপায় নেই।