টাকার বিপরীতে চালু হচ্ছে ডলারের একদর
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ বাজারভিত্তিক ও মুদ্রা বিনিময় হার এক করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন। এই চেষ্টার মানে হচ্ছে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের একটি দর থাকা। বর্তমানে ১ ডলারের বিপরীতে একাধিক দর রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠক চলাকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে তিন ধরনের মুদ্রা বিনিময় হার রয়েছে বলে প্রশ্ন করা হয় শ্রীনিবাসনকে। পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে চলতি মাসের ১০ এপ্রিল প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকেনমিক আউটলুকে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আইএমএফের এত কম প্রাক্কলন দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীনিবাসন বলেন, ‘৫ দশমিক ৫ শতাংশও একেবারে তুচ্ছ নয়। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শুধু ভারত ও মালদ্বীপের পেছনে রয়েছে।’
ভারতের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ১ শতাংশের বদলে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজার একটু ধীরগতির হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ থেকে একধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের রফতানি বাজারের ওপর পড়তে পারে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ফিরে যাবে।’
আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন শ্রীনিবাসন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রাজস্ব খাত ও বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ওই সময় আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরুর জন্য যোগাযোগ করলে আইএমএফ তাতে সাড়া দেয়।
আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত আইএমএফের একটি দল ঢাকা সফর করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করার তিন দিন পরই প্রথম কিস্তিতে ছাড় করেছে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ পাবে বাংলাদেশ। সেই হিসাবে বাকি আছে আরও ছয় কিস্তি।
আইএমএফের মোট ৪৭০ কোটি ডলার অর্থায়নের মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ ৩৩০ কোটি ডলার ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ১৪০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।