সরকারি ভবন যেন ভুতুড়ে বাড়ি!
অনলাইন ডেস্ক:
জয়পুরহাটের সরকারি বেশ কয়েকটি ভবন এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে খালি পড়ে থাকায় মাদকসেবীসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ভবনগুলো।
সরেজমিনে জয়পুরহাট সদরের আরাফাত নগর মহল্লার প্রশাসনিক চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনগুলোতে অবশিষ্ট নেই দরজা-জানালার। এসবের দেয়ালে আগাছা আর লতাপাতায় ছেয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, এই ভবনগুলো এখন মাদকসেবী ও বখাটেদের আড্ডাখানা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকায় বসবাসকারী ষাটোর্ধ্ব এক নারী জানান, এই ভবনগুলোতে শুধু মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডাই হয় না, বরং এখানে নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়। তবে এসব সরকারি কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করেন।
রিকশাচালক সামাদ ও আফজাল অনেকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, একটু রাত হলেই এই রাস্তায় ভাড়া নিয়ে আসতে পারি না। বখাটেরা রিকশায় চড়ে এসে, ভাড়া না দিয়েই ওই ভবনগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী পলি, আয়াত, রবিউলসহ অনেকেই বলেন, ভবনগুলোর বারান্দাসহ প্রধান গেটে ময়লার ভাগার ফেলায় দুর্গন্ধে স্কুল-কলেজে যেতে পারি না। ময়লাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতেও দেখি না।
জয়পুরহাট জেলা জজকোর্টের আইনজীবী মানিক হোসেন বলেন, ভবনগুলো সংস্কার করে দ্রুত ব্যবহারযোগ্য করা হলে একদিকে যেমন সরকার পাবে নির্ধারিত অঙ্কের রাজস্ব, অন্যদিকে এলাকাটি হবে মাদকসহ অপরাধমুক্ত।
এ বিষয়ে জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা আক্তার বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রতিটি ভবন এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনগুলোর মধ্যে দুটি এক হাজার স্কয়ার বর্গফুট এবং এবং একটি ৮০০ স্কয়ার বর্গফুটের। ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কোয়ার্টার এবং গেজেটেড ডরমিটরি হিসেবে তৈরির প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হাতে পেলেই কাজ শুরু করব বলেও জানান তিনি।