বাংলাদেশের জন্য তৈরি আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু
অনলাইন ডেস্ক:
পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে আদানি গ্রুপের আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়া এক নোটিশে এ কথা জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত আদানি পাওয়ার লিমিটেডের আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট-১। এ ইউনিটের ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া ৮০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটির কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যা শিগগিরই চালু করা হবে বলেও জানানো হয়।
আদানি পাওয়ার জানায়, ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) আওতায় প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা এপিজেএল।
এ ছাড়া এপিজেএল ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে পিপিএ-এর অধীনে তাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হলে এই প্রকল্পে মোট ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত মাসের ৯ মার্চ চুক্তি ও বিদ্যুতের মূল্য নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশের সঞ্চালন লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে আসতে শুরু করে ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ। তখন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যোগ হয় ভারত থেকে আসা সর্বোচ্চ ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে প্রথমে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে শুরু হয় পরীক্ষামূলক সঞ্চালন কাজ।
আদানির এ বিদ্যুৎ দেশে নিয়ে আসতে মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। যার ১০৮ কিলোমিটার অংশ পড়েছে ভারতে। আর বাকি ১৩৬ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে।