সাতক্ষীরায় ভাইকে কুপিয়ে জখমের মামলায় বহুল আলোচিত সাংবাদিক আবু সাঈদ গ্রেপ্তার

রঘুনাথ খাঁঃ

ঘরের তালা ভেঙে মালামাল লুটপাট শেষে
ঘেরা ও বেড়া দিয়ে বাড়ি দখলের প্রতিবাদে বড় ভাইকে কুপিয়ে
হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ পুলিশ আবু সাঈদ নামের এক বহুল
আলোচিত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহষ্পতিবার রাত
১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর
গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।তার বাবার নাম আকবর আলী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবু বক্কর জানান, ১৯৯৫
সালে তার দাদা শহর আলী চার শতক ও বাবা আকবর আলী ২০০৫ সালে
তাকে আট শতক জমি রেজিষ্ট্রি কোবালা মূলে লিখে দেন।
সাংবাদিক হিসেবে ভয় দেখিয়ে ওই জমি তার ভাই আবু সাঈদ,
আবু রায়হানসহ চার ভাই ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করার চেষ্টা
করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আবু সাঈদ বাদি হয়ে
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার একটি পিটিশন
মামলা করে। গত ২২ মার্চ দুপুরে স্ত্রী বাপের বাড়িতে ও তিনি
মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সূযোগে আবু সাঈদ, সহোদর আবু
রায়হান, সাদ্দাম হোসেন, রেজাউল ইসলাম ও আবু রায়হানের স্ত্রী
আনোয়ারা খাতুন তার ঘরের তালা ভেঙে নগদ টাকা, সোনার গহনা
ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম লুটপাট করে। পরে তার বাড়ি বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়
সাঈদ। রাতে তার দাদার দেওয়া চার শতক জমিতে কয়েকটি খুঁটি
বসিয়ে উপরে টিনের চাল তুলে কাথা মাদুর মিছিয়ে বসবাস শুরু
করে ভাই আবু রায়হান। প্রতিবাদ করায় আবু সাঈদ, আবু
রায়হান, রেজাউল, সাদ্দাম ও আনোয়ারা তাকে এলোপাতাড়ি
পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা
সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২২ মার্চ বিকেলে স্থানীয় ইউপি
সদস্য আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে এক শালিসি বৈঠক
ডাকেন। আবু সাঈদ জমি ঘেরা তুলে নেওয়ার জন্য একদিন সময়
চায়। পরে সে কথা রাখেনি। একপর্যায়ে ২৯ মার্চ হাসপাতাল
থেকে ছাড়া পেয়ে মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে গত ৩ এপ্রিল
সাঈদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন
আবু রায়হানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ স্ত্রী আনোয়ারা ও আবু সাঈদ তাকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে
আবারো পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আবারো
সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ মোঃ ফকরুল
আলম খান জানান, আবু সাঈদকে বৃহষ্পতিবার রাতে তার বাড়ি
থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)