সাকিবের টাকায় ইফতার করতে চান না বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
অনলাইন ডেস্ক:
আগুনে পুড়ে দোকান ছাই হয়ে যাওয়ায় বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা এখন নিঃস্ব। বলতে গেলে পথেই বসে যাওয়ার মতো অবস্থা অনেক ব্যবসায়ীর। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা। এগিয়ে আসতে চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। কিন্তু সাকিবের টাকা নিতে রাজি নন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের ইফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন এ অলরাউন্ডার। কিন্তু বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা ২০ হাজার টাকাকে পরিমাণে ‘অল্প’ দাবি করে তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ভয়াবহ আগুন লাগে বঙ্গবাজার মার্কেটে। ঘটনার সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ভয়ানক এ অগ্নিকাণ্ডে দোকানিদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারও কারও নগদ অর্থও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের অবস্থা করুণ থেকে করুণতর।
এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গবাজারের আগুনে অনেক ব্যবসায়ী তাদের সম্বল ও আয় হারিয়েছেন। মর্মান্তিক ঘটনায় বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এটি তাদের জন্য খুব কঠিন সময় হিসেবে এসেছে। আমি সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামীকালের ইফতারের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২০ হাজার টাকা দিতে চাই। এ ইফতারের আয়োজন করবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।’
শুধু নিজে ইফতার করাবেন বলেই ক্ষান্ত হননি সাকিব। অন্যদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বানও জানান তিনি। এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘ভয়ানক এ পরিস্থিতিতে আমাদের ভাই ও বোনদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। একটি বরকতময় রমজান নিশ্চিত করতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে যেভাবে পাশে দাঁড়াতে পারেন, সেভাবে এগিয়ে আসুন। আমরা তাদের দুঃখকষ্ট দূর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’
কিন্তু ব্যবসায়ীরা সাকিবের ২০ হাজার টাকায় ইফতার করানোর বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। গণামাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যবসায়ী দলের পক্ষে একজন বলেন, ‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নাকি ইফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা দিব। ৫ পয়সা কইরাও তো কেউ পাইব না। এক দোকানের ইফতারির পয়সাও না। ও যদি চায়, আমরা আরও ২০ হাজার টাকা দিয়া ওরে ৪০ হাজার টাকা দিব, ইফতারির জন্য। আমাদের ক্রিটিসাইজ করা হইসে। এত বড় একটা মাকের্ট, ৬ হাজার দোকান। দুই জন কইরা লোক ধরলেও তো ১২ হাজার লোক। এমনও দোকান আছে ৫-৭ জন কইরা কর্মচারী।’