বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সব প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই এটি দেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের প্রাক্কালে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে যোগদানের পর বঙ্গবন্ধু ও তার ভাষণের ওপর দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
মোড়ক উন্মোচিত দুটি বইয়ের একটি হলো সংসদে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সংকলন ও অন্যটি হলো ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনে প্রদত্ত আইনপ্রণেতাদের ভাষণের সংকলন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য, জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণ সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘৫০ বছরে আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বক্তৃতা জানবে এবং এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে বোঝার, জনগণের অবস্থা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সবকিছু জানার সুযোগ পাবে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধুর সময়ে প্রণীত সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। এটিকে সম্ভবত গোটা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এর মাধ্যমে গরিব, অভাবী, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করেন।
মাত্র নয় মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন- যা ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা।
বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সাতটি ছাড়া বাকি সব আসনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।