সাতক্ষীরা সদরের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণির বিরুদ্ধে শিক্ষক বদলী, অস্তিত্ববিহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অীভযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল গণির বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বদলী, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অবিযোগ উঠেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শুধু সরকারের ভামমুর্তি নষ্ট নয়, ভেঙে পড়বে সাতক্ষীরা সদরের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চ.দা) হিসেবে যোগদান করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলার সপ্রাবি এর সহকারি শিক্ষক ও প্রধার শিক্ষক জানান, চলতি বছরের প্রথম দিকেই স্বচ্ছ ও দূর্নীতিমুক্ত হওয়ার প্রত্যাশায় চালুকৃত অনলাইন বদলী প্রক্রিয়াকে ব্যহত করাসহ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কলুষিত করার প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েন আব্দুল গণি। সম্প্রতি তিন লাখ টাকা নিয়ে শরিফা লায়লুন্নাহার নামের একজন সহকারি শিক্ষককে সিলভার জুবিলি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করিয়েছেন। কারণ সহকারি শিক্ষক হিসেবে ২০০৬ সালের ২ জুলাই শরিফা প্রথম যোগদান করেন জিএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর ২০১৩ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি বদলী হয়ে তার স্থায়ী ঠিকানা ধুলিহার সপ্রাবি তে। অথচ ধুলিহর স্কুলে ২০০৬ সালের ২ জুলাই প্রথম যোগদান দেখিয়ে এবার সিলভার জুবিলিতে বদলী করা হয়েছে। তাছাড়া তার স্থায়ী ঠিকানায় চাকুরি স্বত্বেও বর্তমান ঠিকানাকে স্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালে কুশখালিতে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলেও তাকে প্রতিবন্ধি হিসেবে ১৯৯৯ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখিয়ে চলতি বছরের ২৩ ফেব্র“য়ারি দক্ষিণ সুলতানপুর স.প্রাবি এ যোগদার করানো হয়েছে। আকলিমা খানমকে দামারপোতা সপ্রাবি হতে বাটকেখালি সপ্রাবি এ , দূরত্ব বেশি দেখিয়ে হোসনে আরা চৌধুরীকে শাঁখরা কোমরপুর সপ্রাবি হতে কাঁঠালতলা সপ্রাবি তে, মুর্শিদা খাতুনকে কাঁঠালতলা সপ্রাবি হতে আলীপুর সেন্ট্রাল সপ্রাবি তে, মুন্নিয়ারা খাতুনকে কালিগঞ্জের রায়পুর সপ্রাবি থেকে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা সদরের বলী সপ্রাবি এ প্রথম পোষ্টিং দেওয়া হয়। যদিও তিনি কালিগঞ্জের রায়পুর সপ্রাবি যোগদানকারি দেখিয়ে বিধবা হিসেবে দ্বিতীয়বার কদমতলা সপ্রাবি এ বদলী হয়েছেন গত বছরের ৫ মার্চ । ডেপুটেশনে থাকাকালিন পিটিআই ট্রেনিংএ অংশ নেওয়া পূর্ণিমা রানীকে সদরের ভবানীপুর থেকে কালিগঞ্জের রায়পুর সপ্রাবি এ, বাঁশঘাটা সপ্রাবি এর সহকারি শিক্ষক সফারজানা তামান্নাকে সমন্বয় বদলী দেখিয়ে বাটকেখালি সপ্রাবি তে বদলী করানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সপ্রাবি এর প্রধান শিক্ষক ক্লাস্টার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিবেদন নষ্ট করে নিয়ম বহির্ভুতভাবে এসব বদলী প্রক্রিয়ায় আব্দুল গণি ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পকেটস্ত করেছেন।
স্ত্রীসহ দুইজনকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ঘোনা পশ্চিমপাড়া সপ্রাবি এ নিয়োগের চেষ্টায় তৎকালিন বারুই বায়সা সপ্রাবি বর্তমানে খানপুর সপ্রাবি এর প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও নিজের মেয়েসহ তিনজনকে জালিয়াতির মাধ্যমে তেঁতুলডাঙা সপ্রাবি যোগদানের জন্য জাল কাগজপত্র তৈরির দায়ে মুচলেকাদানকারি মোঃ একরামুল কবীর মুচলেকা দিলে বিভাগীয় মামলায় একটি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। অথচ ওই পাঁচ শিক্ষকের পক্ষে দায়েরকৃত মামলা ও আপিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ হেরে যায়। এখানে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আব্দুল গণির যথাযথ ভূমিকা না থাকার ফলে আপিলে হেরে যায় রাষ্ট্র বলে অভিযোগ ওঠে। আবার ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর মোঃ আব্দুল গণি ওই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অপরদিকে, বালিয়াডাঙা বেসপ্রাবিঃ দক্ষিণ হওয়ালখালি বালিয়াঘাটা বেসপ্রাবি, কাওনডাঙা মিয়ারাজ উদ্দীন বেপ্রাবি, নেহা বেপ্রাবি, দত্তবাগ বেসপ্রাবি, খেড়ুয়াডাঙা বেসপ্রাবি ফুলবাড়ি বেসপ্রাবি পূর্ব কুশখালি বেসপ্রাবি, বালিথা পশ্চিমপাড়া বেসপ্রাবি, বঙ্গবন্ধু শিমুলবাড়িয়া বেসপ্রাবি, টাফরারডাঙি বঙ্গবন্ধু বেসপ্রাবি নামে ১১টি অস্তিস্ত¡বিহীন বিদ্যালয়কে একতলা বিশিষ্ঠ, নিদ্দিষ্ট পরিমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জমি ও ব্যাংক হিসাব দেখিয়ে জনৈক দালাল কাওনডাঙার আব্দুস সোবহানের পরিকল্পনায় বিশেষ সুবিধা নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর মধ্যে করোনাকালিন সময়ে নেহা ও টাফরারডােিত বেড়া দিয়ে এসবেস্টস চাল দিয়ে ছাওয়া ঘর রয়েছে। তাতে রয়েছে কয়েকটি বে ও চেয়ার। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলেও ওই প্রতিবেদন প্রতি বছর আপডেট করার অংশ হিসেবে দুইবার আপডেট করেছেন সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি। মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই সব জায়গায় হাজির হলে যাদেরকে শিক্ষক দেখানো হয়েছে তাদের কয়েকজন মিথ্যাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও শিক্ষক হিসেবে চাকুরি পেতে সোহরাবের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে। সোহরাব দক্ষিন হাওয়ালখালি, কাওয়ানডাঙা মিঞারাজ, নেহা ও পূর্ব কুশখালি বেসপ্রাবি পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে অধিদপ্তরে পাঠানো তালিকায় উলেখ করেছেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৩ সালের ৭ মে তৎকালিন জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ডিজিতে পাঠানো এক চিঠিতে উলেখ করেন যে সদরের ৬১টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া আর কোন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্সা প্রতিষ্ঠান নেই।
এরপরও খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাতিল গণ্য হওয়া ভবন ও গাছ টেণ্ডার ছাড়াই বিক্রি, ওই বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য(এডুকেশন ইন এমারজেন্সি) বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকা কাজ না করেই আত্মসাতের সঙ্গে আব্দুল গণি ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের যোগসাজস রয়েছে। একইভাবে ফিংড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে মাটি খুঁড়লেই গাছের গোড়া, যাতে দেখা যায় সেজন্য মাটি ভরাট করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভবন ও গাছ বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা পকেটস্ত করেছেন আব্দুল গণি, জাকির হোসেনসহ আরো একজন প্রধান শিক্ষক।
এডুকেশন ইন এমারজেন্সির বরাদ্দের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে নেবাখালি সপ্রাবিদ্যালয়, গয়েশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগডাঙ্গি সপ্রাবিদ্যালয়, জিকে ইউনাইটেড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানপুর সপ্রাবিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সপ্রাবিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্কুলে বরাদ্দ আসে। এসব বিদ্যালয়ের কাজ সামান্য করা হলেও তাকে স্কুল প্রতি দিতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে। এভাবে তিনি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। ৪। বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দের কাজ হতে টাকা গ্রহণঃ ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যত ধরণের বরাদ্দ এসেছে তার প্রতিটি খাত হতে প্রথমেই হিসাবরক্ষণ অফিসের নাম করে ক্ষুদ্র মেরামতের ৯২টি বিদ্যালয় হতে ছয় হাজার করে মোট পাঁচ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্লিপ হতে ৮০০ টাাক হারে এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা, সিএসএসআর গতে ভ্যাটের নামে ৪২টি স্কুল থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা করে এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা, নিড বেজড পেয়িং জনতা মেটাল হতে স্কুল প্রতি ৫৫ হাজার টাকা দরে কন্ট্রাক্ট করিয়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে নয়টি স্কুল হতে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পকেটস্ত করেছেন। রুটিন মেরামত থেকে স্কুল প্রতি দুই হাজার টাকা করে প্রায় দুই লাখ টাকা উত্তোলন করে পকেটস্ত করেছেন আব্দুল গণি।
এ ছাড়াও তিনি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বিভিন্ন বরাদ্দ হতে টাকা উত্তেলানের জন্য আপাততঃ স্লিপের জন্য প্রতি স্কুল থেকে ৮০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন। শান্তি বিনোদন বাবদ বিল পাশ করাতে প্রত্যেক শিক্ষককে ২০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। সমপানীর উত্তরপত্র বিক্রির অর্থ সম্পূর্ণ আত্মসাৎঃ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে উত্তরপত্র, আগের পুরাতন কাগজপত্র স্টোর রুম থেকে নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিক্রি করে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা’র অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার। জাতীয় দিবসে অনুপস্থিত থাকাঃ সকল জাতীয় দিবসে অনুপস্থিত থাকেন। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও তুরস্কে ভূমিকম্পে রাষ্ট্রীয় শোকদিবসে তিনি ২৭ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে পিকনিক করে বেড়ান আব্দুল গণি। দুটি সরকারি মটর সাইকেল এক কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যবহারঃ আব্দুল গাণ সাহেবের নিজস্ব নামে বরাদ্দকৃত মটর সাইকেল যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো- হ-৩৪-৬৭১৩ ব্যবহার না করে ডিপিইও অফিস হতে মটর সাইকেল যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো- হ-৩৫- ২০৮০ (ইয়ামাহা) নিয়ে ব্যবহার করছেন। যাহা সরকারি বিধির পরিপন্থি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যতা রেখে সুবিধা আদায়কারি সশিদের মধ্যে শওকত, হালিম , মনিরুজ্জামান, হাবিবুল্লাহ এবং প্রশিদের মধ্যে জাকির , একরাম, মাজেদ, আক্তারুজ্জামান, হাসনাৎ, আঃ সবুর, আব্দুর রহমান প্রতি বছর স্কুল সংস্কারসহ বিভিন্ন নামে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন।
সদর শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে সম্প্রতি অবিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খানপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশি জাকির হোসেন বলেন, স্ত্রীসহ কয়েকজনের কাগজপত্র জাল হিসেবে মুচলেকা দেওয়া ও এক বছরের ইনক্রিমন্ট বন্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করেই বলেন, বোঝেন তো, সরকারি চাকুরিজীবি হলে অনেক সমস্যা। তবে ওই সব কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষের প্রবল বিরোধিতা স্বত্বেও নিম্ন আদালত ও আপিল বিভাগে তারা জয়লাভ করেছেন। তবে বিদ্যালয় ভবনের সংস্কার কাজ না করে সদর শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে ভাগাভাগি, টেণ্ডার ছাড়াই পুরতান ভবন বিক্রি ও গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গণি অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে অন লাইনে বদলী বাণিজ্যের কথা অস্বীকার না করেই বলেন, এ দেখার দায়িত্ব তার একার নয়। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ক্লাস্টার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এ দায় এড়াতে পারেন না। ১১টি বেসপ্রাবি এর তালিকা পাঠানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, এগুলো সরকারি হওয়ার কোন সূযোগ না থাকরেও অধিদপ্তরের সফটওয়ারে যে কোন ভাবেই ওইসব স্কুলের নাম তালিকাভুক্ত করে রাখা যায়। এ ছাড়া দুটি স্কুলের জালজায়িাতি কাগজপত্র দাখিল করে তারা আদালত থেকে রায় পেয়েছে। সে অনুযায়ি তিনি অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অবিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমি এ প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের কাগজপত্র যাঁচাই বাছাই করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।