মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষকারীদের শাস্তির দাবি
অনলাইন ডেস্ক:
দেশের মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষকারী পত্রিকা ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
শনিবার (১ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম আলো পত্রিকায় গত ২৭ তারিখে প্রকাশিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, রাষ্ট্র ও স্বাধীনতাবিরোধী সংবাদ প্রকাশ করায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে সভাপতি মো. মিজানুর রহমান (মামুন) ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ ছাড়া পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবীসহ সবাইকে রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুময়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও, ছবি দেয়া হয় একটি শিশুর। ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।