বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ব্রয়লারের দাম বেঁধে দিলেন দেবহাটার ইউএনও
স্টাফ রিপোর্টার:
রমজানে অসাধূ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের দৌরাত্বে যখন নিত্যপণ্যের বাজারে রীতিমতো সাধারণ মানুষের নাভিশ^াস ছুটছে, ঠিক তখনই জনমনে স্বস্তি ফেরাতে উপজেলা ব্যাপী ব্রয়লার মুরগীর দাম বেঁধে দিয়েছেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। বৃহষ্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সখিপুর, কুলিয়া, গাজীরহাটসহ বিভিন্ন বাজার পরিদর্শণকালে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রয়লার মুরগীর খামারী এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করে সর্বনিন্ম ও সবোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেন তিনি।
মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের অধিক মুনাফার কারনে ব্রয়লার মুরগীর বাজার ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী খামারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি ব্রয়লার মুরগী দীর্ঘদিন লালন পালন করে একজন খামারী যে পরিমান অর্থ লাভ করেন, মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে খামারীর সেই মুরগী হাতবদল এবং বাজারে বিক্রি করে তার চেয়ে বেশি পরিমান অর্থ পকেটে ভরছেন মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী কথিত পাইকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এতে করে একদিকে খামারীরা মুরগীর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেননা এবং অপরদিকে সাধারণ মানুষ ব্রয়লার কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ খুইয়ে ফেলছেন। এজন্য সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে উপজেলার প্রত্যেক বাজারে আস্ত ব্রয়লার মুরগী সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি প্রতি এবং কেঁটে বিক্রয়যোগ্য ব্রয়লারের মাংস কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায় বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দেন তিনি।
পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে ব্রয়লার মুরগীসহ নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি কিংবা দাম বাড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুললে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও সতর্ক করেন নির্বাহী অফিসার খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।