খুলনার পাউবো’র এসডি মিজানের উদাসিনতা চরমে বোরো চাষীদের মাথায় হাত 

আব্দুর রশিদ, খুলনা :
খুলনার পাউবো’র এসডি মিজানের উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনায় বোরো আবাদে লবন পানি তুলছে বাগদা চাষীরা। মাটি কাটছে ভূমিদস্যুরা। দিঘি কাটছে ভাটা মালিকরা। ফলে নষ্ট হচ্ছে ধানের আবাদ। ভেঙ্গে যাচ্ছে ওয়াপদার বাঁধ। সর্বস্ব হারাচ্ছে খুলনার কৃষক। বিব্রত হচ্ছে  বর্তমান সরকার। এমনই অভিযোগ ভূক্তভোগিদের।
১৫ বৈশাখের আগে এক ফোটাও লবন পানি উঠবে না। এমনই বার্তা দিয়ে মাইকিং করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পওর বিভাগ-১ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান  এলাকার চাষী ও ঘের মালিকদের সাথে করেন মতবিনিময়। স্থানীয়  সংসদ সদস্য ছাপ জানিয়ে দেন উঠবে না লবন পানি। অথচ ফাগুনের আগেই লোনা পানিতে সয়লাপ হয়েছে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী এলাকা।
আধারমানিক গেট দিয়ে বৈশাখের আগে কোন লবন পানি উঠবে না বলে সকল প্রকার কার্যক্রম করা হয়। গেটের মুখ বন্ধ করার কথা থাকলেও এসডি মিজান কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় গত পূর্ণিমার জোয়ারের সময় চিত্তামারী গ্রামের আশুতোষ মল্লিক, খোরেরআবাদের চিরঞ্জিত সানা, গজালিয়ার দিপংকর মন্ডল, চিত্তামারীর গৌতম রায়, মিহির মন্ডল, নিমাই মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন বাগদা চাষী লবন পানি তোলেন। এ ব্যাপারে গত রবিবার সকালে নুরনগরস্হ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে এলাকার শতাধিক বোরো চাষী যেয়ে সকল বিষয় জানায় এসডি মিজানকে।
তিনি মঙ্গলবার সকালে যেয়ে ওই গেটের মুখে বাধঁ দিয়ে লবন পানি তোলা বন্ধ করবেন বলে তাদেরকে আশ্বাস দেন। পরে অদৃশ্য কারণে তিনি আর সেখানে যাননি। নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী লবন পানি বন্ধে মানববন্ধন করেন। পরে সকলে মিলে ওই গেটের মুখে বাধঁ দেন। শুক্রবার সকালে আহম্মদ মেম্বরের নেতৃত্বে ওই বাধঁ কেটে আবারও লবন পানি তোলার ব্যবস্থা  করা হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কয়েক গ্রামের ধান চাষীরা দিলে যখন বাধঁ দিচ্ছিলেন  ঠিক তখনই পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মিজানুর রহমান স্থানীয়  এক জনপ্রতিনিধির অফিসে বসে থাকেন এবং একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে অংশ নেন। পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আমি স্থানীয়  সংসদ সদস্য ও স্থানীয়  চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে গিয়েছিলাম।
তবে ঘটনাস্হলে তিনি গত ১০ দিনে যাননি বলে জানান। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ইট ভাটা মালিকদের পাউবোর মাটি কেটে ইট তৈরি, তেলিখালীতে জিয়াউল ইসলাম টিাটোর মালিকানাধীন ভাটা কর্তপক্ষ দিঘি খনন করেছেন, ভান্ডারপাড়ার পঞ্চানন পাউবোর নির্দেশ অমান্য করছেন এমনি একাধিক সংবাদ প্রকাশ করলেও কোন ব্যবস্থা  নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গতানুগতিক উত্তর দেন ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)