ডুমুরিয়ার নার্গিস ক্লিনিক মালিকের ভুল অপারেশনে রোগী মুন্নী জীবন-মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষনে
আব্দুর রশিদ, খুলনা :
ডাক্তার অপারেশনে না করেছেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিক অপারেশনের জায়গা অবস করেই অপারেশনের জন্য পিড়াপিড়ি করেন। নিরুপায় হয়ে ডাক্তার বেচারা করেছেন অপারেশন। ফলে অপারেশনের জায়গায় ধরেছে পচন। বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষনে রোগী। স্বজনরা বিচারের আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। ঘটনাটি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে নার্গিস ক্লিনিকে। রোগীর স্বজন ও অপারেশকারী ডাক্তার এবং সরেজমিন যেয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রয়ারি খলশীর খাজুরা এলাকার রফিক খানের স্ত্রী মুন্নী বেগম এ্যাপানটিস অপারেশনের জন্য নার্গিস ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগির স্বজনদের জানান আজ অপারেশন করা যাবে না। পরক্ষনে আবার বলেন আজই অপারেশন হবে। স্বজনদের দাবি অপারেশনের জন্য ডাক্তার আসার আগেই রোগির অপারেশনের স্থানে অবস করা হয়। আর এ কাজ করেন ক্লিনিক মালিক। পরে ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রোস্তম এসে রোগি দেখে ওইদিন অপারেশন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিকের পিড়াপিড়িতে ডাক্তার অপারেশন করেন। পরবর্তীতে অপারেশনের স্থানে আস্তে আস্তে বচন ধরতে থাকে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বেশকিছুদিন রেখে একটু পচন কমলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে পচনের মাত্রা বেড়ে যায়। গত শুক্রবার রোগির প্রচন্ড খিচুনি হয় পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। নিরুপায় হয়ে রোগির স্বজনরা তাকে দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রোগির স্বজন আরিফুল ইসলাম খান বলেন, ক্লিনিক মালিক মহাসিন খানের গোড়ামির কারণে আজ মুন্নী বেগম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি বলেন, ডাক্তার এসে অপারেশন করতে অস্বীকৃতি জানালেও নার্গিস ও মহাসিন এ অপারেশন করতে বাধ্য করানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্লিনিক মালিক মহাসীন খান বলেন, অপারেশন যথা নিয়মে করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ সঠিক না। অপারেশন সম্পন্নকারী ডাক্তার ডুমুরিয়া উপজেল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, রোগি অত্যন্ত মোটা এবং আগেও একটা অপারেশন রয়েছে বলে আমি ওই দিন অপারেশন করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ক্লিনিক মালিক বলেন, অসুবিধা হবেনা যে কারণে অপারেশন করা হয়। আর মোটা হওয়ার কারণেই ইনফেকশন হয়েছে। এটা ভয়ের কিছু নেই।
Please follow and like us: