জোট ছেড়ে ভালো নেই বিএনপি
নিউজ ডেস্কঃ
দীর্ঘ ১৫ বছর দলীয় অবস্থা ভঙ্গুর থাকা, সেই সঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের হতাশায় হাঁপিয়ে উঠেছে বিএনপি। এ কারণে ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে আগামীর পথ একাই পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে তাদের এই সিদ্ধান্তে জোট ছেড়ে এসে ভালো নেই বিএনপি।
দলটির অনেক নেতার ধারণা, বিএনপিকে চাপে ফেলে বাড়তি সুবিধা আদায় করতেই জোট দুটির নেতারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদিকে দুই জোটের মন রক্ষা করতে গিয়ে খোদ বিএনপিই রাজনৈতিক স্বকীয়তা হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে বিএনপি জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বেঁধেছে। এছাড়া প্রায় অকার্যকর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও নির্বাচনের পূর্বে হাত মেলায় বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, এই দুই জোটের নেতারা রাজনীতির আড়ালে বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে। বিএনপির ছায়াতলে থেকে এরা আমাদেরই শিকড় কাটার ষড়যন্ত্র করছে। সেই অর্থে ২০ দল-ঐক্যফ্রন্টকে বিএনপির জন্য অভিশাপ বলা যায়।
বিএনপিকে দুই জোটের অপরাজনীতি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে দলটির এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের প্রতারণা এবং বেঈমানির কারণে বিএনপি রাজপথে ফিরতে পারছে না। দুই জোটের পরামর্শ গ্রহণ করায় রাজনৈতিক স্বকীয়তা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটা ঠিক হবে না। এছাড়া জোটের দলগুলোর না আছে জনবল না আছে জনসমর্থন। সুতরাং জোটে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখা শিখতে হবে বিএনপিকে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে রাজপথের টিকিয়ে রেখেছিল ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। রাজপথে মৃত প্রায় বিএনপি নেতাদের দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশের আয়োজন করতো তারা। কিন্তু জোট ভেঙে দেওয়ার পর থেকে সেটিও এখন বন্ধ। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন কথা বলার জায়গা খুঁজে পায় না।