সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ৩ কিলোমিটার
নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্পের মতো ঐ এলাকার বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে লোহার পাত ও টুকরো উড়ে গিয়ে আশপাশের এলাকায় পড়েছে।
জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে লোহার পাতের আঘাতে মারা গেছেন সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত কারখানা থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে সালেহ আহমদ ঝুট মিলের ভেতর অবস্থিত ডিপোতে কাজ করছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কদমরসুল বাজারে অবস্থিত তন্ময় মেডিকেল হলের মালিক আমির হোসেন বলেন, লোহার পাত উড়ে এসে মিলের ভেতর ডিপোতে কর্মরত একজনের ওপর পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। ঝুট মিলটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। মিলটি বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ ভাড়া নিয়ে মালামালের ডিপো হিসেবে ব্যবহার করছেন। নিহত ব্যক্তি কোনো একটি ডিপোর অধীনে অস্থায়ী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি লোহার পাত আধা কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শামসুল আলম (৬২) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে পাত উড়ে গিয়ে মোট দুজনের মৃত্যু হলো।
শামসুলের শ্যালক মো. আলাউদ্দীন বলেন, কদম রসুল বাজারের উত্তর পাশে লাকড়ির দোকানে বসে পত্রিকা পড়ছিলেন শামসুল আলম। এ সময় বিস্ফোরণের পর অন্তত ২০০ থেকে আড়াইশ কেজি ওজনের লোহার পাত উড়ে এসে তার মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণ হয়েছে। শামসুল আলম আমার ফুফাতো বোনের স্বামী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি কদমরসুল জাহানাবাদ এলাকার মোস্তফা হুজুরের বড় ভাই। তার এক ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেঁপে ওঠে। ২/৩ কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি থাকা অনেক ভবন ও স্থাপনার কাচ ভেঙে গেছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্ল্যান্টটি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ও আহত ২২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কারো হাত, কারো পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।