সাতক্ষীরায় স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতি ঘর’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :
সাতক্ষীরায় মহান স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য
দিয়ে বঙ্গবন্ধু কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতি ঘর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ)
বেলা সাড়ে ১১টায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির হলরুমে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি
সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু
কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতি ঘর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ
সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি । প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি
বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কৃষক ও শ্রমিকের কথা বেশি ভাবতেন। বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন। বাকশালের
অর্থ হল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু কৃষি ক্ষেত্রে কি কি করলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে,
কৃষকরা ভালো থাকবে, দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে সেটাই ভাবতেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় সাড়ে
তিন বছরে যা করেছেন এবং বলেছেন সেটাই জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দেখানো পথে হাটছেন। জননেত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবেনা। দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার জমি
থেকে কিছু না কিছু উৎপাদন করা।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তাহমিদ
আনসারী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা সুলতানা রুবি, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি
কাজী হাশিম উদ্দীন হিমেল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. নূর মনোয়ার, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার
কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন, আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাজিবুল হাসান, দেবহাটা উপজেলা
কৃষি অফিসার শহীদ মোহাম্মদ তিতুমীর, খামার বাড়ি সাতক্ষীরার কৃষি প্রকৌশলী মো. হারুন-অর রশিদ,
মীর হাবিবুর রহমান বিটু প্রমূখ।
আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতিঘর উদ্বোধন করেন
অতিথিবৃন্দ। এসময় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির কর্মকর্তা ও কৃষি অফিসাররা উপস্থিত
ছিলেন।