স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ওয়্যারড্রপে রেখে থানায় স্বামী

নিউজ ডেস্ক:

২৭ বছরের সুমাইয়া আক্তার হাসি। ২০ জানুয়ারি মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তবে দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। ওই কলহের জেরে শুক্রবার ভোরে হাসিকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ওয়্যারড্রপের রেখে দেন স্বামী। এরপর থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান মনোয়ার।

শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায়। পরে ওইদিন রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়্যারড্রপ থেকে সুমাইয়া আক্তার হাসির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ২০ জানুয়ারি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার হাসির। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তারা দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া (জেল খানার পেছনে) একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ওয়্যারড্রপের ভেতর রেখে দেন।

একপর্য়ায়ে রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান মনোয়ার। পরে পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়্যারড্রপ থেকে সুমাইয়া আক্তার হাসির মরদেহ উদ্ধার করে।

কোতোয়ালি থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোর ৩টা-৪টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন মনোয়ার হোসেন। পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলেও স্বীকার কনে তিনি।

তিনি আরো জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার পেছনে আরো অন্য কোনো ঘটনা আছে কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)