প্রতাপনগরে লোনা পানি উঠিয়ে ধান চাষে ক্ষতির প্রতিকারের দাবী চাষীদের
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শিরষা গ্রামে লোনা পানি উঠিয়ে মৎস্য ঘের করায় লোনা পানির প্রভাবে ধান চাষীদের ক্ষেতের ধান ক্ষতির মুখে পড়েছে। দ্রæত প্রতিকার না হলে দুর্মূল্যের বাজারে চাষীরা সর্বশান্ত হয়ে যাবে। এব্যাপারে চাষীরা ক্ষেতের পাশে দাড়িয়ে প্রতীকি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রæত প্রতিকারের দাবী জানিয়েছেন।
শিরষা বিলে চাষী মহসিন মোড়ল, শাহাবুদ্দিন, আঃ ওহাব, আঃ সালাম, সিরাজুল ইসলাম (প্রাক্তন মেম্বার), জিয়াদ মোড়ল, নূরুল মোড়ল, জাকির হোসেন, কবির, আছাদ, নাহিদ হাসান, বাসার, অজিয়ার, মিজান, তবি, অহেদ গাজী, রশিদ মালী, ইউনুছ, খোকন, নান্টু, তুহিন, খোকা মালী, মাওঃ শহিদুল্লাহ, আকবর, বাচ্চুসহ অনেক চাষী প্রাং ১৫০ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে ধান চাষ করেছেন।
এসব জমিতে বছরে দু’টি ফসল উঠে থাকে। চাষীরা ডিপ মেশিন মালিক আঃ গফফার, আঃ সালাম, রশিদ মালী, রাজ্জাক গাইন, মতি মোড়ল, শামছুর মিস্ত্রী ও কামাল হোসেনের মেশিন থেকে মিষ্টি পানি ক্রয় করে ধান চাষ করেছেন। কিন্তু একই গ্রামের মৃত বাবর আলী মোড়লের ছেলে মোঃ বাদশাহ ও আঃ রহিম মোড়লের ছেলে মোঃ শহিুদুল্লাহ ও নুরুল মোড়ল, রহিম গাজীর স্যালো মেশিন থেকে লবণ পানি নিয়ে অনুমান ৩০ বিঘা জমিতে মাছ চাষ করছেন।
তাদের লবণ পানি চুইয়ে ধান ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এলাকায় লবণ পানি উঠানো যাবেনা মর্মে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নে লবণ পানি উঠানো বন্ধ হয়ে গেছে।
এলাকায় সোনার ধান ফসলসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু শিরষার কতিপয় ব্যক্তির কারণে এলাকার ধান চাষীরা খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হাজার হাজার টাকা খরচ করে চাষকৃত জমির ধান ফসল মাঠে মারা যাবে বলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রায়হানুজ্জামান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার প্রার্থনা করে লিখিত আবেদন করেছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।