ফেসবুকে যে ৬ উপায়ে টাকা আয় করা যায়
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে ফেসবুক ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। প্রথম দিকে বিনোদন ও শখের বশেই সামাজিক এ যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহার হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদায় এসেছে ভিন্নতা। বর্তমানে তো টাকা উপার্জনেরও অন্যতম হয়ে উঠেছে ফেসবুক।
জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি থেকে নানা উপায়ে আয় করা যায় টাকা। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন ও মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রি করে আয় করা যায় টাকা। এর বাইরেও আরো ৬টি উপায়ে টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ইন-স্ট্রিম অ্যাড
ভিডিওর মধ্যে থাকা বিজ্ঞাপনগুলো দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইন-স্ট্রিম অ্যাড ফিডের একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপনের চেয়ে বেশি কার্যকর। কারণ ব্যবহারকারীরা ফিডের স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যেতে পারেন। ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ভিডিওটি গল্প আকারে উপস্থাপন করতে হবে। ফেসবুকের শর্তগুলো পূরণের পাশাপাশি ভিডিওগুলো অবশ্যই এক মিনিটের বেশি দৈর্ঘ্যের হতে হবে। সেইসঙ্গে ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য পেজটিতে ন্যূনতম ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।
পেইড সাবস্ক্রিপশন
সাবস্ক্রিপশন তৈরি করে মাসিক আয় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এই পদ্ধতিতে ফলোয়াররা টাকার বিনিময়ে পেজে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে বিশেষ বা এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই সুবিধাটি এখন শুধু ফেসবুকের ইনভাইটেশন ফিচারের ভিত্তিতে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা ফ্যান সাবস্ক্রিপশন আনলক করতে পারে যখন তাদের ১০ হাজার ফলোয়ার বা ২৫০ জনের বেশি রিটার্ন ভিউয়ার থাকে কিংবা ৫০ হাজার পোস্ট এনগেজমেন্ট বা ১ লাখ ৮০ হাজার ওয়াচ মিনিট থাকে।
ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ
ফেসবুক পেজের রিচ বাড়াতে এবং কনটেন্টকে বৈচিত্র্যময় করতে প্রাসঙ্গিক কারো সঙ্গে কাজ করতে পারেন। নতুন নতুন দর্শক টানতে এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে অনেক নির্মাতা, কোম্পানি, ব্র্যান্ড আছে। বেশ ভালো ফলোয়ার রয়েছে এমন কারও সঙ্গে তারা কাজ করতে চান। এ ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। এজন্য আপনার পোস্টে ব্যবসায়িক পার্টনারদের ট্যাগ শুরুর আগে প্রথমে তাদের কাছে অ্যাক্সেসের জন্য অনুরোধ করতে হবে।
ফলোয়ারদের কাছ থেকে আয়
সম্প্রতি ফেসবুকের ঘোষণা করেছে, ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সাররা রিলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউ তৈরির মতো একটি সিরিজ সম্পূর্ণ করে মাসে ৪ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত আর্থিক পুরস্কার পেতে পারবেন। চ্যালেঞ্জ ফিচারটি এই মুহূর্তে শুধু ইনভাইটেশনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে ইভেন্ট পরিচালনা করতে পারবেন। ইভেন্ট ফিচারটির মাধ্যমে পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময়সূচি তৈরি, সেটি সাজানো এবং তা চালাতে পারবেন। এজন্য ফেসবুক পেজে পেইড অনলাইন ইভেন্টসের ফিচারটি চালু করুন। নতুন ইভেন্ট তৈরির জন্য ইভেন্ট ট্যাবে ক্লিক করুন। সেখানে পেইড অপশনটি সিলেক্ট করে ইভেন্ট, মূল্য এবং যদি কোনো সহ-হোস্ট থাকে তার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
ফলোয়ারদের অনলাইন স্টোরে নিয়ে যাওয়া
সোশ্যাল কমার্স ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে ক্রেতাদের সরাসরি অনলাইন স্টোরে নিয়ে যেতে পারবেন। যেসব ব্র্যান্ডের এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায়। যা স্ক্রল করে বেড়ানো ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে পণ্যটি কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এজন্য ফেসবুক পেজের ক্যাটালগ ম্যানেজারে পণ্যের ক্যাটালগ যোগ করুন। তারপর একটি ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলে প্রাসঙ্গিক পণ্যটির সঙ্গে তা লিংক করে দিন। লাইভস্ট্রিম চলাকালীনও পণ্য লিঙ্ক করতে পারবেন।