ফরিদপুরের ভাংগা ফ্লাইওভার থেকে পড়ে প্রাণ হারালো সাতক্ষীরার স্কুলছাত্র সৈকত
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পিকনিকে গিয়ে ভাংগা ফ্লাইওভার থেকে পড়ে প্রাণ হারালো সাতক্ষীরা সদরের বল্লী-মো: মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এহসানুল হক সৈকত (১৬)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ : ৩০ টায় ফরিদপুর জেলার ভাংগা ফ্লাইওভার থেকে অসাবধানতা বসত পা-পিছলে পড়ে গিয়ে মারা যায় সে। নিহত সৈকত সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়নের আখড়াখোলা গ্রামের মো: গফফার সরদারের ছোট ছেলে।
বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা-সফরে টুঙ্গীপাড়া ঘুরে আসার পথে ফরিদপুরে এক যাত্রা বিরতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে শিক্ষকরা সৈকতের মরদেহ নিয়ে সাতক্ষীরায় তার বাড়িতে পৌঁছায়।
বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জামিলুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে বনভোজনের উদ্দেশ্যে ৬টি গাড়িতে ২০০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষা-সফরে রওনা দেন তারা। টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার দেখা শেষে ফরিদপুরের ভাংগা ফ্লাইওভারে কিছুক্ষণের জন্য সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে যাত্রাবিরতি নেওয়া হয়।
এসময় সৈকত ভাংগা ফ্লাইওভারের ধার দিয়ে হাটার সময় হটাত বিদ্যুৎ চলে এবং অসাবধানতা-বসত পা-পিছলে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নিহত সৈকতের সহপাঠী নাহিদুজ্জামান ও আশিক মুজাহিদ জানান, সৈকত ঘটনাস্থলে মারা যাবার পরও শেষ চেষ্টা হিসাবে তাকে ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড়ভাই ইনজামুল হক শুভ জানান, সৈকত চলতি বছরে বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে তার পরিবার। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। নিহতের সাথে থাকা সহপাঠী ও শিক্ষকরা তার মরদেহ নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা কোন অভিযোগ দেয়নি বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।