কোলেস্টেরলের ঝুঁকি এড়াতে এই পাঁচ সবজি পাতে রাখুন
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
ক্যান্সারের পাশাপাশি দেশ জুড়ে বাড়ছে কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং আরো বিভিন্ন কারণে রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সমস্যা। কারণ এই রোগের হাত ধরেই আরো অনেক সমস্যার জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ খেয়েও অনেক সময়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সম্ভব হয় না। তবে কয়েকটি সবজি আছে, যেগুলো পাতে রাখলে কোলেস্টেরলের চোখৃরাঙানি কমবে অনেকটাই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কয়েকটি সবজি সম্পর্কে-
ব্রকোলি
শরীরের খেয়াল রাখতে ব্রকোলির জুড়ি মেলা ভার। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো- ব্রকোলি সবেতেই এগিয়ে। ফাইবার, সালফারে সমৃদ্ধ ব্রকোলিতে রয়েছে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের রোজের পাতে রাখতে হবে ব্রকোলি।
পালং শাক
পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ পালং শাক কোলেস্টেরল কমাতে দারুণ উপকারী। খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এলডিএল। পালং শাক খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন, লুটেইনের মতো উপাদান, যা কোলেস্টেরল বশ করতে পারে।
ফুলকপি
অ্যান্থোসায়ানিনে সমৃদ্ধ উৎস হল ফুলকপি। এই অ্যান্থোসায়ানিন খারাপ কোলেস্টরল এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে কোলেস্টেরল যদি সহজে পিছু না ছাড়ে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রোজের পাতে রাখুন ফুলকপি।
মুলা
ফুলকপির মতো মুলাতেও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে অতি অবশ্যই মুলা খাওয়া জরুরি। অনেকেই মুলা খেতে চান না। কিন্তু কোলেস্টেরল থাকলে ইচ্ছা না করলেও মুলা খেতে পারেন।
গাজর
শীতকালে শরীরের যত্ন নিতে গাজরের মতো উপকারী সবজি খুব কম রয়েছে। কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যারা ভুগছেন, গাজর কিন্তু তাদের সাহায্য করতে পারে।