ডিমের পরিপূরক যে খাবারগুলো প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
দেহের পেশি মজবুত করতে, হরমোন এবং শরীরের বিভিন্ন উৎসেচকগুলোর কার্যকারিতা ঠিক রাখতে প্রোটিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও চুল এবং ত্বকের জন্যও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে অনেকেই প্রাণীজ খাবারের উপর ভরসা করেন। তবে নিরামিষ খাবার খান যারা, তাদের শরীরে এই যৌগটির অভাব পূরণ হবে কী করে?
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন থাকলেও একটা বয়সের পর প্রাণীজ প্রোটিনের উৎসগুলো খাওয়া কমিয়ে ফেলাই ভালো। ছাড়তে পারলে আরো ভালো। ডিম, মাছ, মাংস না খেলেও এমন অনেক খাবারই আছে, যা প্রোটিনের পরিপূরক।
প্রোটিনের অভাব মেটাতে ডিমের পরিবর্তে কী কী খাবার খেতে পারেন?
কিনুয়া
এক কাপ কিনুয়াতে প্রোটিনের পরিমাণ ৮ গ্রাম। তবে শুধু প্রোটিনই নয়, এতে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। এ ছাড়াও কিনুয়াতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। প্রাণীজ প্রোটিন না খেলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে কিনুয়া কিন্তু পুষ্টিবিদদের বেশ পছন্দের খাবার।
টফু
শুধু নিরামিষ নয়, টফু হল ভিগান খাবার। যারা মাছ, মাংস, ডিম ছাড়াও সরাসরি প্রাণীজ কোনো খাবারই খান না, তারা প্রোটিনের জন্য টফুজাতীয় খাবারের উপরই নির্ভরশীল। ১ গ্রাম টফু থেকে ৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি দিন খাওয়ার পাতে টফুর বিভিন্ন পদ, প্রোটিনের অভাব পূরণ করে দিতে পারে।
কাঠবাদাম
আধকাপ কাঠবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ৭ গ্রাম। এ ছা়ড়াও এই বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা হার্টের জন্য ভালো। প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি ভেজানো বাদাম ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ করতে পারে।
পিনাট বাটার
পাউরুটিতে সাধারণ মাখনের বদলে অনেকেই ইদানীং বাদাম দিয়ে তৈরি মাখন খেতে পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদদের মতে, এই মাখনে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তাই যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন না, তারা স্বাস্থ্যকর নাস্তায় টোস্ট, নুডল্স বা ফল দিয়ে তৈরি স্যালাডেও দিয়ে পারেন এই পিনাট বাটার।
কুমড়ার বীজ
কেক, মাফিন, পাউরুটি বা অন্যান্য খাবার দিয়েও খেতে পারেন আবার শুধু শুধুও খেতে পারেন প্রোটিনে ভরপুর কুমড়ার বীজ। প্রোটিন ছাড়াও এই বীজে রয়েছে জিঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়ামের খনিজ, যা হার্ট ভালো রাখে। শুধু তাই নয়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।