ক্ষমতার অপব্যবহার,এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
ফারুক সাগর,তালা :
দলীয় পদ পদবি ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ এলাকার জনসাধারণের। তিনি কুমিরা ইউনিয়নের আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং রাঢ়িপাড়া গ্রামের মৃত:শহিদুল মোড়লের পুত্র।
একদিকে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্কিত করে তুলেছে তিনি। অন্যদিকে জামাত-বিএনপির নাশকতা মামলার আসামীর তদবির কারক ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময় পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি লাভ করে তার তৎপরতায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রবিবার(২৯জানুযারি) তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার মেল্লেকবাড়ী নামক স্থান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে উপজেলা আ”লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের কাছ থেকে তাদের নিজস্ব জিম্মায় আটকের ৪ ঘণ্টা পর ছাড়িয়ে নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নাশকতা মামলার আসামীদের জামিন করানোর জন্য আদালতে হাজির হন রফিকুল ইসলাম। ওই সময় একজন উৎসুক ব্যক্তি ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করেন। পরিবর্তে সেটি স্থানীয় পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলে। ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে আদালতে আসামীদের সাথে গভীর সখ্যতা দেখা যায় রফিকুলের।
কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতা অপব্যবহার করে রফিকুল বেপরয়া হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল,প্রশাসনের কথা বলে জনসাধারণকে জিম্মি করে অর্থ উপার্জনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তিনি। তার এই অপকর্ম বন্ধের দাবীতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কুমিরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান মিঠু বলেন,কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দলীয় পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বানিজ্য করে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। এসকল অবৈধ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কুমিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে জামাত বিএনপির দোসর হয়ে দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যে অবৈধ টাকার গন্ধ সেদিকে ছুটে যান রফিকুল। টাকার জন্য এমন কোন অপকর্ম নেই করেন না। এছাড়া দলীয় কার্যলয়ের সংষ্কার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনও নাশকতা মামলার আসামীদের পক্ষে নন। তবে সেদিন ব্যক্তিগত কাজে এ্যাড. তপন এর সাথে দেখা করতে গেলে আসামীদের সাথে দেখা হয়েছিল। তাকে নিয়ে মিথ্যাচারসহ রাজনৈতিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে জানাশোনার জন্য ডেকেছিল। তবে তাকে আটক করে রাখা হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।
আটকের বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়ের সাথে কথা বললে,তিনি এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।