ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে পারে বেলারুশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশ বেলারুশে ‘রাশিয়া-বেলারুশ সেনাদের যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এ পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আল জাজিরার।
এখন দেশটিতে রুশ সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের যুক্ত হওয়ার শঙ্কা আরো বাড়ল।
মঙ্গলবার একটি ডিক্রি করে জারি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ঐ ডিক্রিতে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন, সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে যেন বেলারুশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা আলোচনা করেন।
তবে বেলারুশের কোথায় এসব সামরিক স্থাপনা তৈরি করা হবে সেটি স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালাতে বেলারুশের মাটিকে ব্যবহার করে রুশ বাহিনী। হামলার কয়েকদিন আগ থেকে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজার সেনা।
অবশ্য যুদ্ধের শুরু থেকেই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়ে আসছেন, ইউক্রেনে নিজ সেনাদের পাঠাবেন না তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি করেছেন লুকাশেঙ্কো।
জানুয়ারির শুরুতে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু করে বেলারুশের বিমান বাহিনী। যেটি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
তবে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থানরত আল-জাজিরার সাংবাদিক নাতাচা বাটলার বলেছেন, রাশিয়া-বেলারুশ যৌথ মহড়া দিচ্ছে মূলত ইউক্রেনকে বোকা বানানোর জন্য। সীমান্তের কাছে মহড়া দেওয়ায় সেখানে জড়ো হবেন ইউক্রেনের সেনারা। আর এই সুযোগে ইউক্রেনের অন্যান্য স্থানে হামলা চালানোর চেষ্টা করবে রুশ সেনারা।
বেলারুশ-রাশিয়ার যৌথ মহড়াকে হালকাভাবে নেয়নি ইউক্রেন। বেলারুশ থেকে নতুন করে যেন রুশ সেনারা হামলা না করতে পারে সেজন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে ইউক্রেন সেনারা।