ত্বক পরিচর্যার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
উজ্জ্বল ত্বক সবাই পছন্দ করে। এর জন্য চাই সঠিক যত্ন, তবে এই জীবনে কোনো কিছুই সহজে পাওয়া যায় না। ভালো ও সুস্থ ত্বক পেতে গেলেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তবে যারা ভয়ানক রকমের কুঁড়ে হন, তারা মোটেই এত খাটনি খাটতে রাজি হন না।
তাহলে যারা একটু কম পরিশ্রমী তাদের কি ভাল ত্বক পাওয়ার অধিকার নেই? আলবাত আছে! কারণ তাঁদের জন্যই রয়েছে এই সাধারণ এবং সহজ কিছু বিউটি টিপস। এই টিপস কাজেও দেবে আর তার জন্য খাটনিও হবে কম।
গ্রিন টিয়ের স্ক্রাব: এই স্ক্রাব তৈরি করতে নিতে হবে ৩ টেবিল চামচ গ্রিন টি, ২ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার এবং ১ টেবিল চামচ নারিশিং ক্রিম। নিজের পছন্দের যে কোনও ক্রিম বেছে নিলেই হবে। এই পেস্ট মুখে লাগাতে হবে। মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভাল ত্বকের জন্য এই দুটি খুবই প্রয়োজন। ত্বকের মেরামতি করতে ও তার আভা অটুট রাখতে যে কোনও মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। একে রূপচর্চার ভাষায় বিউটি স্লিপ বলে। ত্বকের আর্দ্রতা মানে শুধু বাইরের আর্দ্রতা নয়। ভিতরের আর্দ্রতাও জরুরি। তার জন্য সারা দিনে প্রচুর জল পান করতে হবে। যাতে ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে। যদি ঠিকমতো নিয়ম মেনে জল পান করা যায় তাহলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হবে।
লিকুইড হাইলাইটার: হাতের পিছনে লিকুইড হাইলাইটার লাগিয়ে নিয়ে সেটা মেকআপ ব্রাশ দিয়ে একবার সারা মুখে বুলিয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকে ইনস্ট্যান্ট আভা আসবে।
অতিরিক্ত মেকআপ বাদ দিতে হবে : কম মেকআপ করলে ও কন্সিলার কম ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার থাকে। কারণ বার বার মুখ ধুলেও মেকআপের অবশিষ্ট থেকে যেতে পারে। এই কারণেই সপ্তাহে এক বা দুই দিন মেকআপ-মুক্ত থাকা দরকার। যে কোনও মানুষের যে স্বাভাবিক সৌন্দর্য থাকে, অতিরক্ত মেকআপ সেটা নষ্ট করে দেয়। তাই যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু মেকআপই যথেষ্ট।
টুথপেস্টের ম্যাজিক: যদি হঠাৎ করে মুখে পিম্পল বা ব্রণ দেখা দেয় তাহলে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই। কারণ ব্রণ হলে সেখানে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিতে হবে। টুথপেস্ট খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে দেবে।
লিপস্টিকের ম্যাজিক: বিভিন্ন মানুষের স্কিন টোন বিভিন্ন প্রকারের হয়। তবে স্কিন টোন যেমনই হোক না কেন, সব টোনের সঙ্গে মানানসই হয় ওয়ার্ম পিঙ্ক এই শেড।
ব্রোঞ্জারের ব্যবহার: চিক বোন বা গালের যে অংশ উঁচু হয়ে থাকে তার নিচে সরাসরি ব্রোঞ্জার লাগানো যেতে পারে। এতে মুখের সেই অংশ হাইলাইট পাবে এবং দেখতে সুন্দর লাগবে।
টোনারের ব্যবহার: মুখ থেকে নিঃসৃত অতিরিক্ত তেল মুছে ফেলতে এবং মেকআপ আরও বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে টোনার ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে অল্প একটু টোনার মুখে স্প্রে করে নিতে হবে এবং টিস্যু পেপার দিয়ে থুপে নিতে হবে।
অ্যাভোকাডো ফেসপ্যাক: ত্বকে উজ্জ্বল আভা নিয়ে আসতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মুখে অ্যাভোকাডো ফেসপ্যাক লাগাতে হবে। তার জন্য একটা গোটা অ্যাভোকাডো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। চোখের চারপাশের অঞ্চল বাদ দিয়ে গোটা মুখে এটা লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গাজরের প্যাক: ত্বকে যাতে বলিরেখা না পড়ে তার জন্য দুটো বা তিনটে গাজর সেদ্ধ করে চটকে নিতে হবে। আর তার মধ্যে মেশাতে হবে ২ টেবিল চামচ মধু। এই প্যাক ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আঙুরের প্যাক: তৈলাক্ত থেকে স্বাভাবিক ত্বক, সব ক্ষেত্রেই এই প্যাক চলবে। একটা ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে একটু ক্রিম দিতে হবে। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ আঙুরের রস মেশাতে হবে। এই প্যাক ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ম্যাট আইশ্যাডো: ম্যাট ও নিউট্রাল আইশ্যাডো বেছে নিতে হবে। এতে মেকআপ খুব ন্যাচারাল দেখায়।
মেকআপের সমতা: চোখের মেকআপ বেশি হলে ঠোঁট হাল্কা হতে হবে। অর্থাৎ মেকআপে সমতা থাকতে হবে।
সঠিক ডায়েট: ত্বক বাইরে থেকে উজ্জ্বল দেখাতে ভিতর থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। আর তার জন্য ভাল খাওয়াদাওয়া করতে হবে। প্যাকেটজাত এবং প্রসেসড খাবার নয়, তাজা ফল শাক, সবজি এই সব খেতে হবে।
ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি: ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। বিশেষ করে নাকের ডগায় লাগাতে হবে। ১০-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ত্বকের ছিদ্র মুক্ত করতে: এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ ইনস্ট্যান্ট ওটমিল ও টম্যাটো পেস্ট করে লাগাতে হবে। মুখ পরিষ্কার করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধুর মাস্ক: একটা ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ ক্রিম মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুতে হবে।এতে ত্বক টানটান হবে এবং ত্বকে আর্দ্রতা থাকবে।
দুধের ক্লিনজার: দুধ দিয়ে মুখ মাসাজ করলেও মুখের ময়লা উঠে আসে।