মোবাইলে প্রেম, প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে আসাই কাল হলো প্রেমিকার
নিউজ ডেস্ক:
১৫ বছরের কিশোরী শ্রাবণী আক্তার। ফোনে রং নাম্বারে কথা বলতেন মুন্নার সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন রং নাম্বারে প্রেম করার পর দুজনের সিদ্ধান্তে হয় প্রথম দেখা। কিন্তু এ দেখাটাই যে শেষ দেখা হবে কে জানত। প্রেমিক মুন্নার সঙ্গে দেখা করতে এসে জীবন গেল শ্রাবণীর। সোমবার দুপুরেএ ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন রং নাম্বারে প্রেম করার পরে দুজনের সিদ্ধান্তে প্রথম দেখা, আর প্রথম দেখাটাই যে শেষ দেখা হবে সেটা জানতো না ১৮ বছরের কিশোরী শ্রাবন্তি। প্রেমিক মুন্নার সঙ্গে দেখা করতে এসে মৃত্যু হলো তার। নিহত ১৫ বছরের শ্রাবণী আক্তারের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালি গ্রামে। আটক প্রেমিক চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউপির বাড়িয়ালী গ্রামের মুন্না।
জানা যায়, মুন্নার সঙ্গে মোবাইলে প্রেম করেছিলেন শ্রাবণী আক্তার। ঐ সম্পর্কের জেরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা দেখা করেন ঝিকরগাছার ছুটিপুর বাজারে। এরপর সেখান থেকে মিশ্রিদেয়াড়া বাজারের যান। এ বাজারের রবিউলের হোটেলে নাস্তা করার পর অসুস্থ হন শ্রাবণী। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যান শ্রাবণী। মেয়েটির পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকসহ হোটেল মালিকের ছেলে আবিরকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ক্লিনিকের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রেমিক মুন্নাকে আটকে রাখেন। আর সুযোগ বুঝে মুন্নার দুই বন্ধু পালিয়ে যায়।
ডিহি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ধরে ডেকে নিয়ে প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা মেয়েটিকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, সন্ধ্যায় মেয়েটির লাশ ছুটিপুর সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক মুন্নাসহ হোটেল মালিকের ছেলে আবিরকে থানায় নেয়া হয়েছে।