মেধাবী শামসুন্নাহারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন ইউএনও রুলী বিশ্বাস
জুলফিকার আলী,কলারোয়া:
সুশিক্ষা নিশ্চিত করে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য। তারই অংশ হিসেবে গরীব মেধাবী এক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন কলারোয়ার মানবিক ইউএনও রুলী বিশ্বাস। বুধবার সকালে মেধাবী শামসুন্নাহার চয়নিকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (গনিত বিভাগে) ভর্তির জন্য কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে আসেন।
এসময় তিনি মেধাবী শামসুন্নাহারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭০০০ হাজার টাকা প্রদান করেন। ভর্তির ব্যবস্থা হওয়া শিক্ষর্থী শামসুন্নাহার চয়নিকা কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাঁটরা গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে। চয়নিকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
শামসুন্নাহার চয়নিকা জানান, সে ২০১৯সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে আমি ২০২১-২০২২ সেশনে ভর্তি পরিক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত হয়েছে। সে আরো জানায়,বাবা একজন বর্গাচাষী। তিন বোন মধ্যে সে বড় আর মেঝ বোন সামিহা ক্লাস ৮ ও ছোটবোন লামিয়া ক্লাস প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। বর্তমানে তার বাবার আর্থিক
অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা যোগাড় করতে পারেনি।
শামসুন্নাহার চয়নিকা আরো বলেন,আমি একটি সাহায্যের আবেদন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আসি। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে টাকা যোগাড় করতে না পারার কথা বলি। ইউএনও স্যার আমার কথা শুনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার ভর্তির জন্য সতের হাজার টাকা দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস এর প্রতিকৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামসুন্নাহার চয়নিকা বলে এই টাকায় আমার ভর্তির ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাছাড়া আমি ভর্তি না হতে পারলে অকালে ঝরে পড়তাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, এটা আমাদের কর্তব্য। অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর। এদিকে, শারীরিক ভাবে অসুস্থ পিতার তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কন্যা চয়নিকার ভর্তির ব্যবস্থা হয়েছে। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চয়নিকার বাবা রেজাউল করিম।